সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জি


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা, করোনা, করোনা। চারিদিকে এই একটি নাম। ভয়ের নাম। আতঙ্কের নাম।


সারা পৃথিবীতে সাতশো কোটি লোকের বাস। তার থেকে এখন পর্যন্ত চার হাজারেরও কিছু লোক খতম হয়ে গেছে। আক্রান্ত আরও এক লক্ষ। তাদের মধ্য়ে কতজন থাকবে না, তা বলা যাচ্ছে না। আবার অনেক লোক ঠিকও হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এসবের জন্য় ব্য়বসা বানিজ্য় যথেষ্ট পরিমাণে থমকে গিয়েছে।


আরও পড়ুন-অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে ট্রাস্টকে ১ কোটি টাকা দেবে মহারাষ্ট্র, ঘোষণা উদ্ধব ঠাকরের


চিনে তো বেশ থমকে গিয়েছে। চিনে ব্যবসা থমকে যাওয়াতে পন্য়ের আদান প্রদান ওই দেশ থেকে বন্ধ। তৈরি হওয়া মাল পড়ে রয়েছে। এতে যেটা হয় তা হচ্ছে অর্থনীতি থমকে যায়। আর সেটা যখন হয়ে, অনেক কিছু যা আমরা দেখতে পাচ্ছি না, তা এসে যায় ভাইরাসের অন্য় রূপ ধরে।


ধরা যাক একটা কারখানায় এই ভাইরাসের জন্য় উত্পাদন কম বা স্থগিত। তাই যদি হয়, তাহলে অনেকের চাকরি যাবে। চাকরি যদি যায়, তাহলে তাদের যে ইএমআই গুনতে হয় মাসে মাসে, সেটা বন্ধ হবে। তা বন্ধ হলে ব্য়াঙ্কের উপর চাপ পড়বে এবং ব্য়াঙ্কের খাতায় এনপিএ তৈরি হবে। বেশি হলে ব্য়াঙ্ক দেউলিয়ার পথে চলতে পারে। তাতে ব্য়াঙ্কের কর্মীদের মাইনে আটকে যেতে পারে বা যাবে। হবে ছাটাই। এতগুলো লোকের রোজগারে চোট পরলে অন্য়ান্য় কোম্পানিরা যারা সামগ্রী বানায় তাদের  বিক্রিভাট্টা কম হবে। এটা হলে তাদেরও পন্য় উত্পাদনে ব্য়ঘাত আসবে। লে অফ হবে। যেমন সম্প্রতি টাটা মোটর তার শিকার। চেন এফেক্ট আরকি। এতে প্রচুর পরিবার আহত হবে। শুরু হবে সুইসাইড। তার মানে অন্য় ভাইরাস।


সুতরাং করোনা ভাইরাস কতদিনে করুনাময়ী হয়ে ওঠে সেটা দেখার অপেক্ষায় আমরা সবাই। অপেক্ষা যদি দীর্ঘদিন হয়ে যায়, তাহলেই দুশ্চিন্তা। যদি কয়েকমাস পরে শিথিল হয়, তাহলে আবার সব ঠিকঠাক হতে পারে।


আরও পড়ুন-প্রতিবাদের সঠিক পথই বেছে নিয়েছেন উপাচার্য, রবীন্দ্রভারতী বিতর্কে প্রতিক্রিয়া সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের


কিছুদিন আগেই পুরী সমুদ্রতেই ফনি আছড়ে পড়েছিল। রাতারাতি ক্ষতির পরিমাণ এতটাই হল যে সমুদ্র সৈকত বিধ্বস্ত হয়ে। মানুষ সব পালিয়ে যায়। হোটেল রেস্তোরা বন্ধ। পর্যটকদের যাওয়া বন্ধ। অন্ধকারে ঢেকে যায় শহর। এখন সব ঠিকঠাক। এভাবেই প্রকৃতির মারের জন্য় আমাদের সহ্য় করতে হয়। এই ক্ষেত্রেও সব ঠিক হবে।


শেয়ার বাজার সারা পৃথিবীতেই সেই জন্য়েই অস্থির। দামে হ্রাস। লক্ষ লক্ষ হাজার কোটি টাকা শেষ। আবার গড়ে উঠবে। এসব সময় বিনিয়োগ যারা করেন, তারা হাসতে হাসতে মুনাফা তোলেন। কারও সর্বনাশ তো কারও পৌষমাস।