হাসপাতাল থেকে হেঁটে বেরিয়ে গেল করোনা রোগী, পরক্ষণেই অদূরে মিলল মৃতদেহ
হাসপাতালের গাফিলতিকেই নিশানা করেছে মৃতের পরিবার। তাঁদের এ-ও অভিযোগ যে হাসপাতালে নিগ্রহের শিকার হয়েই পালিয়ে গিয়েছিল রোগী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সরকারি হাসপাতাল থেকে হেঁটে বেরিয়ে গেল করোনা রোগী। আবার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃতদেহ মিলল হাসপাতাল থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি ঝোঁপের মধ্যে। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের হাসপাতালের এই ঘটনায় কূল কিনারা মেলাতে পারছেন না কেউই।
হাসপাতালের গাফিলতিকেই নিশানা করেছে মৃতের পরিবার। তাঁদের এ-ও অভিযোগ যে হাসপাতালে নিগ্রহের শিকার হয়েই পালিয়ে গিয়েছিল রোগী। শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রয়াগরাজের স্বরূপ রানি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই ব্যক্তি। পরিবারের তরফে অডিও প্রকাশ করে অভিযোগ করা হয়েছে, শনিবার সকালেই পরিবারকে ফোন করে হাসপাতালের গাফিলতির কথা জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন যে সারা রাত ধরে তাঁর মুখ শুকিয়ে ছিল। তাঁর অস্বস্তি হচ্ছে, সম্ভবত ভেন্টিলেটরের জন্যই। কিন্তু তারপরেও তাঁর কোনও কথা হাসপাতাল শোনেনি। এই ফোন কলের কিছুক্ষণ পরেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের ভিত বসাবেন প্রধানমন্ত্রী! ২ হাজার ফুট নীচে বসবে "টাইম ক্যাপসুল"
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের বক্তব্য এই রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। কিন্তু তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। হঠাৎই তিনি ওয়ার্ড ছেড়ে বেরিয়ে যান। চিকিৎকরা তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পারেননি। সেই ব্যক্তির বেরিয়ে যাওয়ার পরে কয়েক জন তাঁর পিছনে ছোটাছুটি করেছেন এই ঘটনা সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে। তারপরই সম্পূর্ণ বিষয় পুলিসকে জানানো হয়, একথা জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের প্রিন্সিপাল চিকিৎসক এসপি সিং।
তবে মৃত ব্যক্তির মেয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর বাবা আর নেই শুধুমাত্র হাসপাতালের গাফিলতিতে। এই হাসপাতালে রোগীদের নিগ্রহ করা হয়। এমনটাই অভিযোগ তাঁর। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, টাকা না দেওয়া পর্যন্ত তাঁর বাবাকে খাওয়ারও দিয়েছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে এই হাসপাতালকে ঘিরে এটাই প্রথম বিতর্ক নয়। এর আগেও একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল এক ব্যক্তি কোভিড ওয়ার্ডে চিৎকার করতে করতে মারা যাচ্ছেন তবু কেউ সাহায্যের জন্য আসছেন না। যদিও সে সময়ও ৬৫ বছরের ওই ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল হাসপাতাল।