সদস্যসংখ্যা বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে চিন্তিত সিপিআইএম

দেশজুড়ে নির্বাচনী বিপর্যয় সত্ত্বেও সদস্য সংখ্যা গত চার বছরে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে সিপিআইএমের। ২০০৮ সালে কোয়েম্বাটোরে সিপিআইএমের ১৯তম পার্টি কংগ্রেসের সময় দলের সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ লক্ষ।

Updated By: Apr 5, 2012, 02:36 PM IST

দেশজুড়ে নির্বাচনী বিপর্যয় সত্ত্বেও সদস্য সংখ্যা গত চার বছরে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে সিপিআইএমের। ২০০৮ সালে কোয়েম্বাটোরে সিপিআইএমের ১৯তম পার্টি কংগ্রেসের সময় দলের সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ লক্ষ। কিন্তু কোঝিকোড় পার্টি কংগ্রেসে পেশ করা সাংগঠনিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ। এই আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতির মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গের সদস্যসংখ্যা চিন্তায় রাখছে দলীয় নেতৃত্বকে। কারণ, ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর এ রাজ্যে সদস্য সংখ্যা বেশ খানিকটা কমেছে বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০৮ সালে বামেরা যখন কেন্দ্রে নির্ণায়ক শক্তির ভূমিকায় ছিল, তখন সিপিআইএমের সদস্যসংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬৫৬। এরপর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমাগত কোণঠাসা হয়েছে বামেরা। অথচ সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির সূচক কিন্তু ঊর্ধ্বমুখীই। এরপর ২০০৯ থেকে নির্বাচনী বিপর্যয়ের পরেও ২০১১ শেষে সিপিআইএমের সদস্যসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৩৩-এ। তবে এই হারে সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির পরেও যথেষ্ট স্বস্তিতে নেই দলীয় নেতৃত্ব। তার কারণ, সিপিআইএমের ঘাঁটি বলে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গ। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে প্রতি বছর এই রাজ্যে দলের সদস্য সংখ্যা কমেছে। ২০০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে সিপিআইএমের সদস্য ছিল ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৬২। ২০১০ সালে তা কমে দাঁড়াল ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৩৫। ২০১১ সংখ্যাটা আরও কমে যায়। সদস্যসংখ্যা দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৩৮। অথাত্‍‍, গত ৩ বছরে পশ্চিমবঙ্গে সিপিআইএমের সদস্যসংখ্যা কমেছে ১৮ হাজার ৫২৪ জন। 

এবারের পার্টি কংগ্রেসে সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে এই রাজ্যের সাংগঠনিক পরিস্থিতির বিষয়টি। স্বাভাবিক ভাবেই তাই একদিকে যেমন প্রাধান্য পাচ্ছে সদস্যসংখ্যা কমে যাওয়ার প্রসঙ্গ, অন্যদিকে পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে এই অবস্থার কারণ এবং সঙ্কটমুক্তির উপায়। পার্টি কংগ্রেসে পেশ করা সাংগঠনিক রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, একই রকম ভাবে সদস্যসংখ্যা কমেছে দলের ছাত্র এবং যুবফ্রন্টেও। ২০০৮ যুবফ্রন্টে সদস্য ছিল ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৪০ হাজার। তিন বছর পর তা কমে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৭২ হাজার। সিপিআইএম নেতৃত্বের কপালে ভাঁজ ফেলেছে ছাত্রফ্রন্টের সংখ্যাও। ২০০৮-এ ছাত্রফ্রন্টে ছিলেন ৪৩ লক্ষ ২৭ হাজার জন সদস্য, ২০১১ সালে তা কমে হয় ৪১ লক্ষ ৭৮ হাজার। তবে এরই মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে কৃষকসভা এবং দলের শ্রমিক সংগঠন। দুটি ক্ষেত্রেই সদস্য বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

.