বিহারে এনডিএ `যোগে` বিবাগী নীতীশ কুমার?
যোগ দিবসের অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছেন নীতীশ কুমার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারে বিজেপিকে কি এড়িয়ে যাচ্ছেন নীতীশ কুমার? যোগ দিবসে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি ঘিরেই এই প্রশ্নই উঠছে পটনার রাজনৈতিক অলিন্দে। বিজেপির দাবি, 'অল ইজ ওয়েল।'বিষয়টি হালকা করার চেষ্টা করেছে জেডিইউ-ও।
আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে পটনার পাটলিপু্ত্র স্পোটর্স কমপ্লেক্সে যোগাসন করেন কয়েক হাজার মানুষ। সেখানে ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। গত বছর আরজেডি-কে ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছেন নীতীশ কুমার। অনেকেই আশা করেছিলেন, যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন নীতীশ কুমার। তবে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। জেডিইউ-র বড় নেতাদেরও দেখা যায়নি। উপ-নির্বাচনে জেতা আসনেও হারার পর প্রশ্ন উঠছে, বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন না তো সুশাসনবাবু?
নীতীশের অনুপস্থিতির বিষয়টি আমল দিতে চায়নি বিজেপি-জেডিইউ দু'পক্ষই। জেডিইউ-এর মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন বলেন, ''২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষণার আগে থেকে যোগাসন করছি আমরা। যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে সামিল হওয়া নিয়ে দলের কোনও ঘোষিত অবস্থান নেই। এর সঙ্গে রাজনীতি যোগ করা অনুচিত।'' বিষয়টি লঘু করার চেষ্টা করেছে বিজেপিও। রবিশঙ্কর প্রসাদের কথায়, ''নীতীশ কুমার যোগানুরাগী। এটা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।'' একই সুরে সুশীল মোদী বলেন, ''জেডিইউয়ের অনেকেই এসেছেন। জেডিইউ ও আরজেডি নেতারা কি যোগাসন করেন না? সবার যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। এনডিএ জোট অক্ষুন্ন রয়েছে।''
জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে শরিক দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর কৌশল আগেও নিয়েছেন নীতীশ কুমার। সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছে আরজেডি। তারা জানিয়েছে, মহাজোটে থাকাকালীন নোট বাতিলের প্রশংসা করেছিলেন নীতীশ কুমার। এবারও তেমন কিছু করতে চাইছেন। তবে এখন তাঁর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
আরও পড়ুন- লিটারে পেট্রোলের দর ১১ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে
এদিন বৈশালি জেলায় যোগ দিবসের উজ্জাপনে সামিল হন বিহারে বিজেপির অন্য দুই শরিক দল এলজেপি ও আরএলএসপি-র রামবিলাস পাসোয়ান ও উপেন্দ্র কুশওয়া।
আরও পড়ুন- 'চায় পিলে ফ্র্যান্ডসে'র গৃহবধূর নাচের ভিডিও এবার ঝড় তুলেছে ইন্টারনেটে