নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংগঠন সংস্কারের সব চেষ্টা জলে। টানা সাত ঘণ্টা ধরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে চাপানউতরের পর ঠিক হল আপাতত কংগ্রেসের অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতির দায়িত্বে থাকছেন সেনিয়াই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু আনলক ৪, ধাপে ধাপে চালু হবে মেট্রো পরিষেবা!


আজ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শুরু হতেই তুলকালাম শুরু হয় বৈঠকে। কংগ্রেসের ২৩ নেতা চাইছিলেন দলের একজন পূর্ণ সময়ের নেতা ও সাংগঠনিক স্তরে আমূল রদবদল। রাহুল-প্রিয়ঙ্কা-মনমোহন সহ দলের বিরাট অংশের চাপে শেষপর্যন্ত পিছিয়ে আসতে বাধ্য হলেন তাঁরা। এমনকি গুলাম নবি আজাদের মতো নেতাও সমালোচনার চাপে পড়ে পদত্যাগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন।


বৈঠকের শুরুতেই এদিন সোনিয়া জানিয়ে দেন, দলের সভাপতির দায়িত্ব তাঁর পক্ষে আর পালন করা সম্ভব নয়। নতুন নেতা খুঁজে নিক দল। তার পরেই ২৩ নেতার সোনিয়াকে লেখা চিঠির প্রসঙ্গ তোলেন। সূত্রের খবর, রাহুল অভিযোগ করেন যাঁরা সংগঠনের আমূল বদলের কথা বলছেন বা পূর্ণ সময়ের নেতার দাবি করছেন তাঁদের সঙ্গে বিজেপির যোগ আছে। এনিয়ে শুরু হয়ে যায় তরজা। টুইট করে রাহুলকে আক্রমণ করেও পরে তা প্রত্যাহার করেন কপিল সিব্বল।


আরও পড়ুন-আগামী ৫ দিন দুর্যোগের আশঙ্কা, বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিতে কন্ট্রোলরুম তৈরির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর


এতকিছুর পরও সোনিয়া এদিন তাঁর ভাষণে বারবার বলেন, চিঠি যারা লিখেছিলেন তাঁদের কারও প্রতি আমার কোনও ক্ষোভ নেই। আমার খারাপ লেগেছে। কিন্তু ওঁরা আমার সহকর্মী। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এখন একসঙ্গে কাজ করতে হবে।


উল্লেখ্য, দলের সাংগঠনিক সংস্কারের কথা বলে মৌচাকে ঢিল মেরে দিয়েছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। অনেকেই সোনিয়ার দিকে আঙুল তোলার চেষ্টাকে বদরাস্ত করতে পারেননি। ফলে বোঝা গেল সোনিয়া ছাড়া এখন অন্য কারও ওপরে ভরসা করছে না দলের একটি বড় অংশ। এমনকি সচিন পাইলটকে নিয়ে সমস্যার সময় প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর হস্তক্ষেপেই বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছিল দল। ফলে সেই গান্ধী পরিবারের ওপরেই আস্থা রাখল কংগ্রেস।