নিজস্ব প্রতিবেদন: যার সামান্যতম অঙ্গুলিহেলনে একের পর এক লাশ পড়েছে, সেই ছোটা রাজন এখন আতঙ্কিত!
অন্ধকার জগতের আর এক খলনায়ক দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গীরা যে কোনও মুহূর্তে তাকে টার্গেট করতে পারে৷ এই আশঙ্কাটা চলছিলই৷ এবার হাতেনাতে তার প্রমাণও মিলল৷  তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে সতর্কও করেছেন গোয়েন্দারা। জেলে রাজনের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কুলভূষণের সঙ্গে সাক্ষাতে স্ত্রীকে জুতো খুলতে বাধ্য করল পাকিস্তান


সম্প্রতি দিল্লির কুখ্যাত গ্যাংস্টার নিরাজ বাওয়ানের এক সহচরের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ওই ব্যক্তিও অন্ধকার জগতের পরিচিত মুখ। কিছুদিন আগেই জেলে থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে সে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সে অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলছিল। তার ফোন ট্র্যাক করেই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ডি কোম্পানি নিরাজ বাওয়ানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ও তাকে ছোটা রাজনকে খুন করার বরাত দিয়েছে।


প্রসঙ্গত, নিরাজ বাওয়ানও তিহাড় জেলেই বন্দি। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তাকে ছোটা রাজনের সেলের পাশেই থাকত। সম্প্রতি তাকে অন্যত্র সেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাওয়ানের আগের সেল থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধারের পর থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে পুলিসের। পরে তার সহচরের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করেই বিষয়টিতে নিশ্চিত হন তাঁরা।


আরও পড়ুন:  কাশ্মীর দখল করতে কলকাতাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার ডাক আল কায়দার


ছোটা রাজনকে বর্তমানে তিহাড় জেলের একেবারে শেষপ্রান্তে ২ নম্বর সেলে রাখা হয়েছে। তার নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিস কর্মীরা। মূলত ছোটা রাজনকে আইসোলেটেড ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, ছোটা রাজন একেবারেই সুরক্ষিত জায়গায় রয়েছে। দাউদ ইব্রাহিম কিংবা বাওয়ানের সহচরদের পক্ষে রাজনের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে না বলেই দাবি জেল কর্তৃপক্ষের।