ধর্ষণের সময় কোনও প্রতিবাদই করেনি নির্ভয়া, দাবি অন্যতম দোষী মুকেশ সিংয়ের

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে চলন্ত বাসে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও নির্যাতন কাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশের ভিতটাকেই। এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মুকেশ সিং এবার পাল্টা অভিযোগ আনল গণধর্ষিত সেই তরুণীর উপরই। বিবিসি-এর এক ডকুমেন্টারিতে জেল থেকেই ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় মুকেশ সিং দাবি করল ধর্ষণের সময় নির্ভয়া বা তাঁর বন্ধু কোনও আপত্তিই করেননি, এমনকি ধর্ষকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টাও নাকি করেননি তাঁরা।

Updated By: Mar 2, 2015, 08:35 PM IST
ধর্ষণের সময় কোনও প্রতিবাদই করেনি নির্ভয়া, দাবি অন্যতম দোষী মুকেশ সিংয়ের

ওয়েব ডেস্ক: ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে চলন্ত বাসে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও নির্যাতন কাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশের ভিতটাকেই। এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মুকেশ সিং এবার পাল্টা অভিযোগ আনল গণধর্ষিত সেই তরুণীর উপরই। বিবিসি-এর এক ডকুমেন্টারিতে জেল থেকেই ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় মুকেশ সিং দাবি করল ধর্ষণের সময় নির্ভয়া বা তাঁর বন্ধু কোনও আপত্তিই করেননি, এমনকি ধর্ষকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টাও নাকি করেননি তাঁরা।

মুকেশের বয়ানে এই নির্ভয়ার মৃত্যু নিছকই এক দুর্ঘটনা। সে জানিয়েছে ''ধর্ষিত হওয়ার সময় বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করেনি মেয়েটি। চুপ করে থেকে ধর্ষণ হতে দিয়েছে। ধর্ষণের পর আমরা মেয়েটিকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছিলাম। ওর সঙ্গি ছেলেটিকে খানিক মারধর করি আমরা।''

প্রসঙ্গত, সেই রাতে শুধু ধর্ষণ নয়, নির্ভয়ার উপর নির্মম অত্যাচারও  করেছিল ছয় দুষ্কৃতী। অকথ্য যৌন নির্যাতন করেই তারা ক্ষান্ত হয়েনি। নির্ভয়ার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দিয়েছিল লোহার রড সহ আরও বেশ কিছু যন্ত্রপাতি। রক্তাক্ত, অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় নির্ভয়া ও তাঁর সঙ্গিকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা। অত্যাচারের মাত্রা এতটাই ছিল তীব্র ছিল যে পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও শেষপর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার পর দিল্লি সহ সারা দেশ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। বাধ্য হয়ে ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনে বাধ্য হয় সরকার।

অভিযুক্ত প্রত্যেককেই পরে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৩ সালের ১১ মার্চ অন্যতম অভিযুক্ত তিহার জেলে পুলিসি হেফাজতেই আত্মহত্যা করে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ঘটনার সময় নাবালক হওয়ায় তার ৩ বছরের জেল হয়।

১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে বাকি ৪ অভিযুক্ত অপরাধী সব্যস্ত হয়। নিম্ন আদালত তাদের ফাঁসির আদেশ দিলেও দিল্লি হাইকোর্টে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দোষীপক্ষ। এখনও পর্যন্ত এই চারজনের মৃত্যদণ্ড স্থগিত রয়েছে।

 

.