জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কথায় বলে, বিয়ের পর মেয়েদের দুটো বাড়ি। দুই বাড়িতে দুজন করে মা-বাবা। কিন্তু অধিকাংশক্ষেত্রেই তা হয় না। আজও প্রায়শই বধূ নির্যাতনের খবর শোনা দেশের প্রত্যেকটা কোনায়। কিন্তু বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ির উপর নির্যাতনের খবরও প্রায়শই শোনা যায়। সম্প্রতি এরকমই একটি ঘটনার সমালোচনায় নেট দুনিয়া উত্তাল।রবিবার দিল্লির লক্ষ্মীনগরের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল মুহূর্তের মধ্যে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির একজন মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর তাঁর শ্বশুরকে একাধিক চড় মারছেন, আরও একজন পুলিসের সামনে। ঘটনাস্থলে তাঁর মাও উপস্থিত ছিলেন। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত অপর পুলিস তাঁকে থামিয়ে দেন। কিন্তু কেনই বা ঘটল এমন ঘটনা? সত্যিই কি বৃদ্ধ শ্বশুর তাঁর বৌমার হাতে নির্যাতিত? নাকি ঘটনার পিছনে আসল গল্প অন্য কিছু!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Murder: পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ায় মেয়ের সহপাঠীকে খুন! গ্রেফতার মহিলা  


ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে ওই বৃদ্ধ ও মহিলা পুলিসের মায়ের মধ্যে তীব্র তর্ক বিতর্ক হচ্ছিল। তারপরই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায় এবং বৃদ্ধ শ্বশুর তাঁর মাকে মারতে উদ্যত হয়। এইসময়ই মহিলা পুলিস মাঝখানে আসে এবং তাঁর শ্বশুরকে চড় মারতে শুরু করে। তখন তাঁর মাও মারতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে উপস্থিত অন্য পুলিস পরিস্থিতি সামাল দেন। সূত্র মতে, অভিযুক্ত মহিলা পুলিস দিল্লির ডিফেন্স কলোনি পুলিস স্টেশনে নিযুক্ত। তিনি তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেছেন। 


 



আরও পড়ুন: Jharkhand: ধর্ষণে ফাঁসানোর হুমকি, শারীরিক নিগ্রহ করত স্ত্রী, সোশ্যালে মিডিয়ায় বিস্ফোরক পুলিস অফিসার


সংবাদ সংস্থা এএনআই, ভিডিয়োটি ট্যুইট করে এবং এই বিষয়ে সঠিক তদন্তের দাবি করি। চলতি বছরের মার্চ মাসেই কলকাতায় বধূ নির্যাতনের অন্যরকম একটি ঘটনা উঠে এসেছিল। বধূ নির্যাতনের মামলার প্রতিশোধ নিতে এক ব্যক্তি তাঁর নিজের বাড়িতেই ডাকাতি করেন। কোয়েল মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, উভয়ই পেশায় আইনজীবী। জানিয়ারি মাসের ২১ তারিখ বাড়িতে শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের ভাই ও বাবা বাড়িতে থাকাকালীন ডাকাতি হয়। তদন্তে জানা যায়, খোদ স্বামীই এই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে কোয়েল মুখোপাধ্যায় বেলেঘাটা আইডিতে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন, তার প্রতিশোধ নিতেই এই ডাকাতি।