নিজস্ব প্রতিবেদন:  মেরুকরণের রাজনীতি চরমে উঠল দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে। বিজেপি সাংসদ প্রবেশ ভার্মা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, দিল্লিতে ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টাও লাগবে না এ সব বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দমন করতে। পাশাপাশি, তাঁর যুক্তি সরকারি জমিতে তৈরি মসজিদে বরদাস্ত করা হবে না বিক্ষোভ প্রদর্শন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। ফল বেরোবে ১১ তারিখ। বিজেপি নেতা প্রবেশের দাবি, এই নির্বাচন দেশের একতা তৈরির নির্বাচন। ১১ ফেব্রুয়ারি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, ঘন্টা খানেকের মধ্যে সব বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেওয়া হবে। সরকারি জমিতে তৈরি মসজদিতে বিক্ষোভ করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি, কাশ্মীরে পণ্ডিতদের ‘তাড়ানোর’ অভিজ্ঞতা টেনে বিজেপি সাংসদের বিস্ফোরক মন্তব্য, এক সঙ্গে লক্ষাধিক মানুষ জোড়ো হয়। এরা আপনার বাড়িতে ঢুকে, মা-বোনেদের ধর্ষণ করে হত্যা করবে। তখন মোদী-শাহ বাঁচাতে না-ও থাকতে পারে। তিনি মনে করেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের অনেক বেশি নিরাপদ সংখ্যাগুরুরা। মন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়।



কাশ্মীর, হায়দরাবাদ ও উত্তর প্রদেশে এমনই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন বিজেপি সাংসদ প্রবেশ ভার্মা। গতকাল দিল্লিতে বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে দেশদ্রোহীদের গুলি করে মারার স্লোগান ওঠে। নর্থ ওয়েস্ট দিল্লির রিথালা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মণীশ চৌধরির হয়ে নির্বাচনী প্রচার করছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ-প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।


আরও পড়ুন- দেশদ্রোহীদের গুলি মারার স্লোগান উঠল দিল্লির বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে, ‘গলা’ মেলালেন অনুরাগ


ভিডিয়ো অনুরাগ ঠাকুরকে বলতে দেখা গিয়েছে, নাগরিক সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের দেশদ্রোহী বলতে। সমর্থকরা পাল্টা দাবি জানায়, তাঁদের গুলি করে মারা উচিত। অনুরাগ নিজের মুখে গুলি করা মারার কথা না বললেও, উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, ওই দিনই পরে নির্বাচনী প্রচার সারেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ। কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিঙ্ভি টুইট করে বলেন, অনুরাগ ঠাকুরের মতো তরুণ নেতার মুখে এমন উস্কানিমূলক মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক।