UP-Haryana: পর পর নাবালিকা গণধর্ষণ! বিজেপি শাসিত রাজ্য যেন নরক গুলজার
একদিকে নাবালিকা দুই বোনকে গণধর্ষণের অভিযোগ তাদেরই খুড়তুতো ভাইদের বিরুদ্ধে, অন্যদিকে ১৪ বছরের এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণ ধর্ষণ করে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা। এমনই শিউড়ে ওঠার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানায়। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ- একের পর এক অপরাধের ঘটনা ঘটেই চলেছ দুই রাজ্যে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিজেপির রাজত্বকালে উত্তরপ্রদেশ কিংবা হরিয়ানায় (UP-Haryana) একের পর এক অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। বিশেষ করে নারী নির্যাতন যেন দিন দিন ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে। উত্তর প্রদেশের ফতেপুর জেলায় ১৫ ও ১৭ বছর বয়সী দুই বোনকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৬ জনের বিরূদ্ধে। রবিবার রাতে মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাদের গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, দুই নির্যাতিতা এবং ধর্ষণকারীরা প্রত্যেকেই পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়। প্রত্য়েকেরই বাড়ি পাশের গ্রামে।
আরও পড়ুন, Solapur: চলন্ত বাইকে বন্দুক নিয়ে স্টান্ট! ভাইরাল ভিডিয়ো...
পুলিস সুপার রাজেশ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, ওই ছয় জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও এক পুলিস কর্মকর্তা বলেন, ওই দুই বোনকে ধর্ষণকরেছে খুড়তুতো ভাইয়েরা, যাদের বয়স ১৯ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। পুলিস আরও জানায়, ওই দুই কিশোরী তাদের গ্রাম থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মেলায় গিয়েছিল। তাদের সঙ্গে আরও দুই শিশু ছিল। তাদের মধ্যে ছিল ১২ বছরের এক কিশোরী ও তার ১০ বছরের এক ভাই। পুলিস জানিয়েছে, ওই দুই নাবালিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
দেরি হয়ে যাওয়ায় তাঁরা মেলা থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তারা তাদের খুড়তুতো ভাইকে ফোন করে তাদের মেলা থেকে নিতে আসতে বলে। কয়েক মিনিট তাঁর জন্য অপেক্ষা করার পর তারা তাঁদের আত্মীয়ের বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করে বলে জানিয়েছে এক পুলিস আধিকারিক। তিনি বলেন, ওরা প্রায় ১ কিলোমিটার যাওয়ার পর পেছন থেকে ৬ জন যুবক এসে তাদের ধরে ফেলে। তারপর পাশের ঝোপে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই কর্মকর্তা জানান, চিৎকার করলে তার বাচ্চা মেয়েটি ও ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে। তবে পরে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, গত বছর ডিসেম্বরে সোহনাতে ১৪ বছরের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ৩ জনের বিরুদ্ধে। রবিবার পুলিস জানিয়েছে, একটি স্পোর্টস প্রোগ্রামের সময় স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ছাত্রীকে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে এখনও তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিস আরও জানায়, সন্দেহভাজন ৩ ব্যক্তি ছাত্রীর একটি আপত্তিকর ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডও করে। অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটে এই ভিডিও ছড়িয়ে দেয় অভিযুক্তরা।
নির্যাতিতার বাবা জানান, ওই ছাত্রী বাড়িতে কিছুই জানায়নি। পরে সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ তিনি ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারলে পুলিসের দ্বারস্থ হন। শনিবার সোহনা সদর থানায় ৩ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ (অপহরণ) ও ৩৭৬-ডি (গণধর্ষণ) এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইনের ১৩/৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিস। ডেপুটি পুলিস কমিশনার (দক্ষিণ) উপাসনা সিং জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর একটি খেলাধুলার অনুষ্ঠানের সময় ওই ছাত্রীকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যায় ৩ জন। এক পুলিস আধিকারিকের কথায়, অভিযুক্তরা নাবালিকাকে আরাবল্লিতে নিয়ে গিয়ে পর পর ধর্ষণ করে। এমনকী পরিবার ও বন্ধুদের কাছে ঘটনাটি জানালে পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয় ওই ছাত্রীকে।
আরও পড়ুন, E-Pharmacy: অনলাইনে অর্ডার করে ওষুধ পাওয়ার দিন শেষ, কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র!