নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বস্তিতে কর্নাটকের ‘বিদ্রোহী বিধায়করা’। যাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করে দিয়েছিলেন প্রাক্তন স্পিকার রমেশ কুমার। পাশাপাশি ২০২৩ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণে তাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বিধায়ক পদ খারিজের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। তবে, তাঁদের উপর নির্বাচনে না লড়তে পারার যে বিধি নিষেধ চাপানো হয়েছিল, তা কার্যকর হবে না। অর্থাত্ আগামী ডিসেম্বরে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কর্নাটকের ‘ডিসকোয়ালিফায়েড’ বিধায়করা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, কর্নাটকে জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়করা। কংগ্রেসের ১৪ এবং জেডিএস-এর ৩ বিধায়ক দলের প্রতি অনস্থা দেখিয়ে ইস্তফা দেন। ইয়েদুরাপ্পা সরকার আস্থা ভোটে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত গোপন জায়গায় আস্তানা গাঁড়েন তাঁরা। ওই বিধায়কদের পদ তত্কালীন স্পিকার রমেশ কুমার খারিজ করে দেন। স্পিকারের সাংবিধানিক ক্ষমতা এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্নে তুলে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন তাঁরা। শেষমেশ সংখ্যা গরিষ্ঠতার অভাবে পতন হয় কংগ্রেস-জেডিএস জোট কুমারস্বামী সরকারের।



আরও পড়ুন- ফুরিয়ে যায়নি জোটের সম্ভাবনা, শিবসেনাকে নতুন শর্ত দিল এনসিপি!


এ দিনের রায় লেখেন বিচারপতি এনভি রামান্না। বিচারপতি রামান্না, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারীর বেঞ্চ এ দিন নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বলা হয়, সংসদীয় গণতন্ত্রে নৈতিকতা সরকার এবং বিরোধীকে সমানভাবে বেঁধে রাখে। যেভাবে একের পর এক বিধায়ক সরকারের প্রতি অনস্থা দেখিয়ে কর্নাটকের রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করেছে, তা নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।