মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস বিধায়কের হুমকির পর বদলি জেলাশাসক
প্রথমবার বিধায়ক হয়েই তিনি শুধু জেলাশাসক নন, হুমকি দিয়েছেন আরও অনেক সরকারি আধিকারিকদের। তাঁর হুঁশিয়ারি, ``আপনাদের কাজের পদ্ধতি শুধরে নিন।``
নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকার গড়ার পর এখনও কাটেনি এক সপ্তাহ। তার আগেই মধ্যপ্রদেশে বিতর্কে জড়াল কংগ্রেস। বিতর্ক তৈরি করেছেন কংগ্রেসের এক বিধায়ক। তিনি এক জেলাশাসককে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দেন। আর তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই বদলি করে দেওয়া হয় ওই আমলাকে।
আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধীর ভারতরত্ন প্রত্যাহারের প্রস্তাব, বিরোধিতা করায় ইস্তফার চাপে আপ বিধায়ক
ঘটনাটি ঘটেছে, গত ২০ ডিসেম্বর। ওই রাজ্যে কংগ্রেস নেতা কমল নাথ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর। তার তিনদিন পরই ওই রাজ্যের আলিরাজপুরে ঘটনাটি ঘটে।
ওই জেলার জোবটের বিধায়ক কংগ্রেসের কলাবতী ভুরিয়া। তিনি সেখানে দলের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই তিনি আলিরাজপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।
শনিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই একটি ট্যুইট করেছে। তাতে কলাবতীদেবীর ওই বিতর্কিত বক্তৃতার ভিডিওটি রয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কলাবতীদেবী দাবি করছেন, জেলাশাসক তাঁকে খুব নাজেহাল করেছেন। তাই আর কয়েকদিন আলিরাজপুরের 'রুটি খেয়ে নিক' ওই জেলাশাসক। বেশি দিন তো আর থাকতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন ওই কংগ্রেস বিধায়ক।
কলাবতী দেবী এবার প্রথম বিধায়ক হয়েছেন। ১৮ বছর ধরে ঝাবুয়ার জেলা পঞ্চায়েত অধ্যক্ষ ছিলেন তাঁর কাকা কান্তিলাল ভুরিয়া সাংসদ। প্রথমবার বিধায়ক হয়েই তিনি শুধু জেলাশাসক নন, হুমকি দিয়েছেন আরও অনেক সরকারি আধিকারিকদের। তাঁর হুঁশিয়ারি, ''আপনাদের কাজের পদ্ধতি শুধরে নিন।''
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা নিয়ে খেলছেন রাহুল গান্ধী, নজরদারি বিতর্কে তোপ অমিতের
পাশাপাশি দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁকে আশ্বাসবাণীও দিতে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ''আপনাদের আর ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। এবার আমি এসেছি আপনাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য।''
আর এ নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কারণ, আলিরাজপুরের জেলাশাসক গণেশ শঙ্কর মিশ্রকে তার পরই বদলি করা হয় অন্য একটি জেলায়। একই সঙ্গে আরও অনেককে বদলি করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের দাবি, এটা রুটিন বদলি।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশের পর রাজস্থানেও ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মকুবের ঘোষণা কংগ্রেস সরকারের
তবে বিরোধীরা তা মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, কংগ্রেস বিধায়কের অপছন্দ হওয়াতেই বদলি করা হয়েছে ওই জেলাশাসককে।