রাজীব গান্ধীর ভারতরত্ন প্রত্যাহারের প্রস্তাব, বিরোধিতা করায় ইস্তফার চাপে আপ বিধায়ক
১৯৮৪ সালে দিল্লির শিখ নিধন ঘটনায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি, রাজীব গান্ধীর ভারত রত্নের সম্মান কতটা যুক্তিগ্রাহ্য যে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আপ বিধায়ক অলকা লাম্বা কি ইস্তফা দিতে চলেছেন? রাজীব গান্ধীর ভারতরত্ন প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে অলকার ইস্তফা নিয়ে সরগরম দিল্লির রাজনীতি। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভারত রত্ন প্রত্যাহারের জন্য সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয় দিল্লি বিধানসভায়। ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় অলকা লাম্বাকে ইস্তফা দিতে আপ নেতৃত্ব চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৪৩ বছর বয়সী আপ বিধায়ক দাবি করছেন, “রাজীব গান্ধীর ভারতরত্ন প্রত্যাহারের বিরোধিতা করায় ইস্তফা দিতে বলেছে দল। দেশের জন্য রাজীব গান্ধী অনেক কিছু করেছেন।” তাই, ইস্তফা দিতে প্রস্তুত বলে সাফ জানিয়ে দেন অলকা লাম্বা।
আরও পড়ুন- সেতু উড়িয়ে দেওয়ার ছক বানচাল, অসমে বিপুল আরডিএক্স সহ পাকড়াও উলফা জঙ্গি
১৯৮৪ সালে দিল্লির শিখ নিধন ঘটনায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি, রাজীব গান্ধীর ভারত রত্নের সম্মান কতটা যুক্তিগ্রাহ্য যে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। শুক্রবার ভারত রত্নের প্রত্যাহারের দাবি তুলে বিধানসভায় সংশোধনী প্রস্তাবে মতামত রাখেন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। সূত্রে খবর, ওই দিনই সংশোধনী প্রস্তাব পাস হয়ে যায়। এমনকি, প্রস্তাব পাসের খবর সাংবাদিকদের জানান আপ বিধায়ক জারনেল সিং।
আরও পড়ুন- অবন্তিপোরায় চলছে গুলির লড়াই, খতম জাকির মুসার সহযোগী সহ ৬ জঙ্গি
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে আপ নেতৃত্ব। ভারতরত্ন প্রত্যাহারের সংশোধনী প্রস্তাব পাসের খবর অস্বীকার করে টুইটে আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, হাতে লিখে সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া দেন এক বিধায়ক। এ ভাবে সংশোধনী পাস করানো যায় না। ওই সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া টুইটে প্রকাশ করে অলকা লাম্বা দাবি করেন, ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করতে বলা হয়। কিন্তু তাতে রাজি না হয়ে বিধানসভা কক্ষ ছাড়েন বলে জানান অলকা।
উল্লেখ্য এই অলকা প্রায় ২০ বছর কংগ্রেসে ছিলেন। দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ২০১৪ সালে আপ-এ অংশগ্রহণ করেন। চাঁদনি চক কেন্দ্র থেকে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন অলকা লাম্বা। প্রথম থেকেই আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে অলকার বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধ দেখা যায়। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ২০১৬ সালে তাঁকে আপ মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।