লস্কর জঙ্গিদের গাড়ি থেকে গ্রেফতার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিক
২০০১ সালে সংসদে হামলার পর ডিএসপি দেবিন্দর সিং-এর নাম সামনে এসেছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সর্ষের মধ্যে ভূত! লস্কর ই তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের গাড়ি থেকে গ্রেফতার রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিক। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার মীরবাজার থেকে নিরাপত্তারক্ষী ডিএসপি দেবিন্দর সিংকে গ্রেফতার করেছে। শ্রীনগর বিমানবন্দরে অ্যান্টি হাইজ্যাকিং স্কোয়াডে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি। দুজন জঙ্গির সঙ্গে একই গাড়িতে সওয়ার ছিলেন দেবিন্দর সিং। নিরাপত্তারক্ষীরা সেই গাড়ি থেকে একে ৪৭ রাইফেল ও গ্রেনেড উদ্ধার করেছে।
২০০১ সালে সংসদে হামলার পর ডিএসপি দেবিন্দর সিং-এর নাম সামনে এসেছিল। আফজল গুরু জেল থেকে চিঠি লিখেছিলেন তাঁর আইনজীবীকে। সেই চিঠিতে দেবিন্দরের নাম উল্লেখ করেছিল আফজল গুরু। তার দাবি ছিল, সংসদ হামলায় জড়িত থাকা জঙ্গি মহম্মদকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর উপর জোর খাটিয়েছিলেন বডগামের হুমহামায় দায়িত্বে থাকা ডিএসপি দেবিন্দর। ২০১৩ সালে আফজল গুরুর ফাঁসি হয়। তার পর সেই চিঠির কথা জানায় আফজল গুরুর পরিবারের সদস্যরা। এর পরও দেবিন্দরের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি! তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- অনুরাগ কাশ্যপের গোপন চিঠি ফাঁস, বিস্ফোরক অভিযোগে বদলা বিজেপির!
এদিন দেবিন্দরের সঙ্গে থাকা দুই জঙ্গিও পাগড়ি পরে ছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছে, জঙ্গিদের গাড়ি চণ্ডীগড় যাওয়ার ছক কষেছিল। নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, দেবিন্দর জঙ্গিদের ঘাঁটি থেকে বাইরে আনার চেষ্টা করছিলেন। গত ১৫ অগাস্ট রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন দেবিন্দর। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালানোর পর দেবিন্দরের প্রোমোশন হয়। ইন্সপেক্টর থেকে তাঁকে ডিএসপি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দেবিন্দরের সঙ্গে এদিন গাড়িতে ছিল নবিদ নামের এক জঙ্গি। সোপিয়া এলাকায় একাধিক পুলিসকর্মীকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভিন রাজ্যের আপেল ব্যবসায়ী খুনেও নাম রয়েছে নবিদের।