জামিয়া মিলিয়ায় অব্যাহত CAA বিরোধী বিক্ষোভ, তার মাঝেই মধ্যরাতে ফের চলল গুলি
জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা স্কুটারে চড়ে এসেছিল। একজনের পরনে ছিল লাল জ্যাকেট। দাবি এক প্রত্যক্ষদর্শীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গুলির বর্ষণ যেন থামছেই না। ফের গুলি চলল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন রবিবার মধ্যরাতে পাঁচ নম্বর গেটের কাছে গুলি চালায় দুই অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী। তারপর তারা পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা স্কুটারে চড়ে এসেছিল। একজনের পরনে ছিল লাল জ্যাকেট। দাবি এক প্রত্যক্ষদর্শীর।
#WATCH Delhi: People gather in protest outside Jamia Millia Islamia University following an incident of firing at gate no.5 of the university. 2 scooty-borne unidentified people had fired bullets at the spot. SHO (Station house officer) is present at the spot. Investigation is on pic.twitter.com/EKlxQPBVum
— ANI (@ANI) February 2, 2020
যদিও এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। খবর পেয়ে জামিয়া নগর ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিসবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। গুলি চালানোর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে শুরু হয় বিক্ষোভ। CAA বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন গত পাঁচদিনে এই নিয়ে তিনবার গুলি চলল দিল্লিতে। জামিয়া থেকে মাত্র দু কিলোমিটার দূরে শাহিনবাগে গত প্রায় দু মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। আর সেই বিক্ষোভেই একের পর এক হামলার খবর উটে এসেছে শিরোনামে।
আরও পড়ুন:
আইন নিয়ে খেলা করছে; পৃথকভাবে ফাঁসি দেওয়া হোক ধর্ষকদের, আদালতে
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তুমুল উত্তেজনা ছড়য়। মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে রাজঘাটের দিকে পড়ুয়াদের একটি মিছিল যাচ্ছিল। সেই সময়ে এক অপরিচিত ব্যক্তি বিক্ষোভকারীদের তাক করে গুলি ছোড়ে। এদিন তাঁর হুমকি, “এই নাও তোমাদের স্বাধীনতা”(ইয়ে লো আজাদি)। কালো জ্যাকেট পরা যুবকের এ হেন আচরণে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ঘটনায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া গুরুতর আহত হন। আততায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিস। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছিলেন, হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাত্ই এক যুবক ভিড়কে লক্ষ্য় করে গুলি ছোড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নয় বলে জানান ওই প্রত্যক্ষদর্শী।