ওয়েব ডেস্ক: বেসরকারি স্কুলের বেলাগাম খরচে লাগাম পরাতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী। তবে স্কুলের ফি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই বিধানসভায় কড়া বিল পাশ করিয়েছে দিল্লির আপ সরকার। উপ রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলেই চালু হবে নতুন আইন। কী আছে সেই বিলে? দেখে নেব এক নজরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেসরকারি স্কুলে এত খরচ কেন হবে?  শুক্রবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কুল গুলির বেলাগাম খরচকে শৃঙ্খলায় বাঁধার  উদ্যোগও নিচ্ছেন তিনি। স্কুলের ফিজ নিয়ন্ত্রণে আগেই বিল করেছ দিল্লির আপ সরকার। একবার দেখে যাক কি রয়েছে সেই বিলে...


দিল্লি বিধানসভার বিলে ক্যাপিটেশন নেওয়াকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কোনও স্কুল ক্যাপিটেশন ফি নিতে পারবে না। ভর্তির সময় পড়ুয়া বা তার অভিভাবকদের কোনও পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানা দিতে হবে। ক্যাপিটেশন ফির ১০গুণ বা ৫ লাখ টাকা (যেটি বেশি) জরিমানা দিতে হবে।


শিশুর ভর্তির পরীক্ষার প্রথম অভিযোগে ৫ লাখ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। পরবর্তী প্রতিটি অভিযোগে ১০লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। স্কুলের হিসাব পরীক্ষার জন্য  হাইকোর্টের  অবসরপ্রান্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি করবে সরকার। বাড়তি ফি নিলে ৩ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে। দিতে হবে জরিমানাও। দিল্লি বিধানসভায় এই বিল পাশ হয়েছে। এখন অপেক্ষা উপ রাজ্যপালের সাক্ষরের।


মিশনরারি স্কুলও কি আইনে?


বেসরকারি স্কুলগুলির মধ্যে রয়েছে প্রচুর মিশনারি স্কুল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই স্কুল গুলি চালায় সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি। মিশনারি স্কুল গুলি সংবিধানের ৩০ নম্বর ধারা অনুসারে চলে। এই ধারায় ধর্মীয় বা ভাষাগত ভাবে সংখ্যালঘুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানোর স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। ফলে এই সংস্থাগুলি নিয়ন্ত্রণের আওতায় পড়ে না।


অন্য বেসরকারি স্কুলগুলিকেও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। বহু বেসরকারি স্কুলই রাজ্যের উপর নির্ভরশীল নয়। রাজ্যের থেকে তাঁরা আর্থিক বা অন্য কোনও সুবিধা নেননি। সেক্ষেত্রে রাজ্য কি তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে? সে প্রশ্নটাই তুলছেন অনেকে।