নিজস্ব প্রতিবেদন— করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে গোটা দেশ। এর মধ্যে আসামে বন্যা। আমফানে লন্ডভন্ড বাংলা ও ওড়িশায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল। একের পর এক সমস্যায় জেরবার গোটা দেশ। এমনিতেই লকডাউনের জেরে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। দুবেলা খাবার জুটছে না অনেকেরই। আর এসবের মধ্যে নতুন অশান্তি পঙ্গপাল। পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকেছে পঙ্গপালের বিশাল দল। রাজস্থানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসল নষ্ট করেছে এই পঙ্গপালের দল। হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশের চাষীরাও পঙ্গপাল হামলার আশঙ্কায় রয়েছেন। এরই মধ্যে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, ভারত—পাক সীমান্তে সামনের মাসেই আট হাজার কোটি পঙ্গপালের জন্ম হতে পারে। সেই পঙ্গপালের দল আবার নতুন করে ভারতে হানা দিতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মরু অঞ্চলের পঙ্গপাল। তাই চিন্তা বেশি। এদেরকেই ফসলের জন্য সব থেকে ক্ষতিকারক বলে ধরা হয়। ভারতে ১লা জুন বর্ষার মরশুমের শুরু। পঙ্গপালের দল স্যাতস্যাতে আবহাওয়া পেলে ডিম পাড়ে। ভারত—পাক সীমান্ত এলাকায় বর্ষার সময় আদ্রতা বেশি হয়। ফলে ওই অঞ্চলে পঙ্গপালের দল বেশি সংখ্যায় ডিম পাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্দাজ করা হচ্ছে, ১৫ জুন নাগাদ প্রাক বর্ষার বৃষ্টি হলেই পঙ্গপালের দল ওই এলাকায় ডিম পাড়তে শুরু করবে। তবে ভারত—পাক সীমান্তবর্তী কিছু এলাকা এতটাই দুর্গম যে সেখানে পৌঁছে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া এত সহজ নয়। তবে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চাষীরা ইতিমধ্যে কীটনাশক ছড়িয়েছেন। ড্রোন—এর সাহায্য চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। পঙ্গপালের সমস্যায় কেন্দ্রীয় সরকার সবরকম সহায়তায় আশ্বাস দিয়েছে কৃষকদের।


আরও পড়ুন— Covid-19-এ রক্ষে নেই, এবার ভারতে Banana Covid হানার আশঙ্কা


জয়পুরের কৃষি বিভাগের সহ—সচিব এসপি সিং জানিয়েছেন, এখন দেশের যে অঞ্চলগুলিতে পঙ্গপালের দল রয়েছে সেখানে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাজারে হাজারে পঙ্গপাল মারা পড়ছে। কিন্তু এবার হানা দেওয়া পঙ্গপালের দল এতটাই বড় যে এঁটে ওঠা সহজ হচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন, পঙ্গপাল এখন গ্লোবাল সমস্যা। বিশ্বের বহু দেশে পঙ্গপাল হানা দিয়ে ফসল নষ্ট করছে। ফলে আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘেও আলোচনা হতে পারে। ডিম পাড়ার আগেই পঙ্গপালের দলকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।