দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হল একনাথ খাড়সেকে, বেকায়দায় বিজেপি
বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেললেন মহারাষ্ট্রে দলের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা একনাথ খাড়সে। দাউদের সঙ্গে যোগাযোগ ও জমি কেলেঙ্কারির জেরে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হল খাড়সেকে। তবে ইস্তফাতেই সন্তুষ্ট নন বিরোধীরা। খাড়সের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তাঁরা। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্তের কথা বলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
ওয়েব ডেস্ক: বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেললেন মহারাষ্ট্রে দলের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা একনাথ খাড়সে। দাউদের সঙ্গে যোগাযোগ ও জমি কেলেঙ্কারির জেরে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হল খাড়সেকে। তবে ইস্তফাতেই সন্তুষ্ট নন বিরোধীরা। খাড়সের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তাঁরা। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্তের কথা বলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
জোর ধাক্কা খেল বিজেপি। দুর্নীতি ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর করতে গিয়ে মহারাষ্ট্রে দলের এক হেভিওয়েট নেতাকে ছাড়তে হল মন্ত্রিত্ব। দুর্নীতির দায়ে ইস্তফা দিলেন
একনাথ খাড়সে। মহারাষ্ট্রের রাজস্বমন্ত্রী। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মন্ত্রিসভার নম্বর টু। রাজ্য বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট নেতা। তাঁর বিরুদ্ধেই উঠেছে গুরুতর অভিযোগ।
তার সম্পর্কে অভিযোগ-কয়েক কোটির জমি কেলেঙ্কারি ও দাউদের সঙ্গে যোগাযোগ। কাঠগড়ায় খাড়সে। গত এপ্রিলে পুনেতে সরকারি জমি কেনেন খাড়সের স্ত্রী ও জামাই
জমির বাজারদর ৩০ কোটি টাকা হলেও, তা কেনা হয় ৪কোটি টাকায়। এর পাশাপাশি, গত বছর খাড়সেকে করাচি থেকে টেলিফোন করেন খোদ দাউদ ইব্রাহিম বলে শোনা যাচ্ছে।
কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির পাশাপাশি খাড়সের বিরুদ্ধে সরব বিজেপির জোটসঙ্গী শিবসেনাও। এরপরেই নড়েচড়ে বসে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর রিপোর্ট তলব করেন বিজেপি সভাপতি।
কড়া অবস্থান নেয় বিজেপি। বৃহস্পতিবার অমিত শাহকে রিপোর্ট দেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই খাড়সের ইস্তফা নিশ্চিত হয়ে যায়। শনিবার সকালে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বাড়িতে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তবে তাতে সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা।
চাপের মুখে ইস্তফা দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন খাড়সে। ইস্তফার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন তাঁর অনুগামী-সমর্থকরা। বিক্ষোভ অবরোধে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তবে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের অবস্থানে অনড়। দশই জুন মহারাষ্ট্রে বিধান পরিষদের নির্বাচনের পরই সম্ভবত মন্ত্রিত্ব হারাচ্ছেন এই হেভিওয়েট নেতা।