''কার দেহ জ্বালিয়েছে জানি না, সবাই রাজনীতি করছে'', দাবি হাথরসে নির্যাতিতার বৌদির
''আমরা জানি না সেদিন রাতে কার মৃতদেহ সৎকার করেছে পুলিস! কারণ আমাদের মৃতদেহ একবারের জন্যও দেখতে দেওয়া হয়নি।"
নিজস্ব প্রতিবেদন - ''এখনো কোনো নেতার ফোন আসেনি। সবাই তো রাজনীতি করছে।'' এমনই দাবি করলেন হাথরসে নির্যাতিতার বৌদি। গত কয়েকদিন ধরে তাঁরা ঘরবন্দি। নজরবন্দিও। এমনকী বাথরুমে যেতে হলেও পুলিসের অনুমতি নিতে হচ্ছে। গোটা বাড়ি তো বটেই, গোটা গ্রাম ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিস বাহিনী। এতদিন পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমকে নির্যাতিতার গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমকে। কিন্তু শেষমেশ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন নির্যাতিতার বৌদি। আর তিনি জানিয়েছেন, গতকাল এসটিএফের কোনও দল আসেনি। গত পরশু তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন জেলা শাসক। বয়ান বদলের জন্য চাপ দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী যোগীর রাজ্যের পুলিস তাঁদের বিভিন্ন উপায়ে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার বৌদি।
হাথরসে নির্যাতিতার মা বলেছেন, ''আমার মেয়ে মৃত্যুর আগে নিজে মুখে বলে গিয়েছে যে ওর ধর্ষণ হয়েছে। তাহলে কি ও মিথ্যা কথা বলেছে! আমাদের বারবার বলা হচ্ছে নারকো টেস্ট করাতে হবে। আমরা জানি না নারকো টেস্ট আসলে কী! কিন্তু আমরা ওরকম কোনও টেস্ট করাব না। কারণ আমরা সত্যি কথা বলছি। নারকো টেস্ট যদি করাতে হয় তাহলে জেলাশাসক ও পুলিস আধিকারিকদের করানো হোক। ওরা তো মিথ্যে কথা বলছে। আমার মেয়েকে শেষ দেখা দেখতে দেয়নি ওরা। আমরা বারবার অনুরোধ করেছি, একবার অন্তত মেয়েটাকে দেখতে দিন। কিন্তু ওরা লুকিয়ে আমার মেয়ের মৃতদেহ দাহ করে দিল। তারপর জেলাশাসক এসে আমাদের বলল, আমার মেয়ে করোনায় মারা গেলে কোনো ক্ষতিপূরণ পেতাম না। এখন যা পাচ্ছি তা যেন আমরা নিয়ে চুপ করে যাই। কিন্তু আমাদের টাকা চাই না।''
আরও পড়ুন- ২০১১-র মতো কাণ্ড করতে পারেন রাহুল গান্ধী! হাথরস ঘিরে রেখেছে পুলিস, চলছে নাকা চেকিং
নির্যাতিতার বৌদি বলেছেন, ''আমরা জানি না সেদিন রাতে কার মৃতদেহ সৎকার করেছে পুলিস! কারণ আমাদের মৃতদেহ একবারের জন্যও দেখতে দেওয়া হয়নি। এখন আমাদের সন্দেহ হচ্ছে, ওটা আমাদের মেয়ের দেহ তো! না হলে পুলিশ একবারের জন্যও কেন দেখতে দেবে না! আমরা জেলাশাসককে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়ে ছিলাম। তিনি উল্টে বললেন, ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহের কী অবস্থা হয় তোমরা জানো! নিজেদের মেয়ের ওরকম অবস্থা দেখতে পারতে না। মেয়ের মৃতদেহ দেখার পর তোমাদের দশদিন ঘুম হত না। খেতে পারতে না। তাই দেখানো হয়নি।''