দেশজুড়ে ভারত বনধে ভালো সাড়া, সন্ধেয় আন্দোলনকারী কৃষকদের আলোচনায় ডাকলেন শাহ
দেশের একাধিক রাজ্যে আজ ভারত বনধের প্রভাব লক্ষ্য করা গেল। পঞ্জাবে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ছিল বন্ধ। অবরোধ করা হয় রেল। দোকান বাজার খোলেনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ডাকা ভারত বনধে দেশজুড়েই ভালো সাড়া মিলল। আর তার পরেই আন্দোলনকারী কৃষকদের আলোচনার জন্য ডেকে পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে ডাকা নিয়ে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত সংবাদমাধ্যমে বলেন,' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি ফোন এসেছিল। অমিত শাহ আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। সন্ধে ৭টা আমাদের ডাকা হয়েছে।' দিল্লি উপকন্ঠে যেসব কৃষক সংগঠন আন্দোলন করছে তাদের নেতারাও ওই আলোচনায় বসবেন।
আরও পড়ুন-মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে BJP, নিজেদের শটগানেই মৃত্যু ব্যক্তির: সুব্রত মুখোপাধ্যায়
We do not want to cause any inconvenience to anyone from Delhi or Haryana, we should be allowed to hold protest at Ramlila Ground: RS Mansa, Punjab Kisan Union at Singhu (Haryana-Delhi border) pic.twitter.com/S0EpkjknBR
— ANI (@ANI) December 8, 2020
#WATCH | Haryana: People protesting agianst farm laws make way for an ambulance to pass through a section of the Ambala-Hisar highway#BharatBandh pic.twitter.com/CRBXc0JU2P
— ANI (@ANI) December 8, 2020
We have a meeting with the Home Minister at 7 pm today. We are going to Singhu Border now and from there we will go to the Home Minister: Rakesh Tikait, Spokesperson, Bharatiya Kisan Union pic.twitter.com/IWY2G1rMzZ
— ANI UP (@ANINewsUP) December 8, 2020
উল্লেখ্য, শুক্রবার আন্দোলনকারী কৃষক ও কেন্দ্রের মধ্যে আলোচনা কোনও ফয়সলা ছাড়াই শেষ হয়। তার আগের বেশ কয়েকটি আলোচনাও ভেস্তে যায়। কেন্দ্রের বক্তব্য, কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে কোনওভাবেই বঞ্চিত করা হবে না। তবে কৃষকরা অনড়, নয়া ৩ কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। কারণ ওই ৩ আইন বলবত থাকলে তাঁদের লাভ কমে যাবে ও তাঁদের শিল্পসংস্থার মুখাপেক্ষী থাকতে হবে।
অল ইন্ডিয়া কিষান সভা নেতা বলরাম সিং ব্রার বলেন, 'সরকারের ইঙ্গিত ওই ৩ আইন সংশোধন করা হবে। কিন্তু কৃষকরা একমত, ৩ আইনকেই বাতিল করতে হবে। ' প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠক আন্দোলনকারী কৃষকরা ৩৯ পয়েন্টে নয়া ৩ কৃষি আইন ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন তা কীভাবে কৃষক স্বার্থ খর্ব করছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-মহুয়া মৈত্রর বক্তব্য ব্যক্তিগত, অনুমোদন করে না দল: সুব্রত মুখোপাধ্যায়
এদিক, দেশের একাধিক রাজ্যে আজ ভারত বনধের প্রভাব লক্ষ্য করা গেল। পঞ্জাবে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ছিল বন্ধ। অবরোধ করা হয় রেল। দোকান বাজার খোলেনি। বিভিন্ন সরকারি দফতর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ধরনায় বসেন আন্দোলনকারীরা।
চারঘণ্টা চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিতে আজ দিল্লি সীমান্ত -সহ অন্যান্য জায়গায় রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। চণ্ডীগড়, মোহালি সহ একাধিক জায়গায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। বিহার, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দক্ষিণ ভারতের ভারত বনধের ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছে।