নিজস্ব প্রতিবেদন: শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শেষপর্যন্ত হাঙ্গামার আকার নিল রাজধানীর রাস্তায়। লালকেল্লায় জোর করে বিক্ষোভকারী কৃষকদের ঢুকে পড়া থেকে শুরু করে দিল্লি পুলিসের সদর দফতরের কাছে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন কৃষকরা। তবে সন্ধেয় লালকেল্লা থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিল পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানীতে Tractor Rally-তে এসে এক কৃষকের মৃত্যু হলেও সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৮৩ পুলিস কর্মী। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রাস্তায় নামানো হচ্ছে অতিরিক্ত ১৫ হাজার আধাসেনা। পাশাপাশি, Tractor Rally শেষপর্যন্ত বন্ধ করার কথা ঘোষণা করল ৪১ কৃষক সংগঠনের জোট সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা(Samyukta Kishan Morcha)। সংগঠনের তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীরা নিজ নিজ জায়গায় ফিরে যান। তবে  আন্দোলন বন্ধ হবে না। তা চলবে শান্তিপূর্ণ ভাবেই।



আরও পড়ুন-BJP দশটা মারলে আমরা বিশটা মারব : আব্বাস সিদ্দিকী


দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিল(Tractor Rally) করতে এসে পুলিসে নির্দিষ্ট পথে যাননি কৃষকরা। জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড ভেঙে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। কোথাও পুলিসকে তাড়া করেছেন ট্রাক্টর নিয়ে। কোথাও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে, কোথাও লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারী কৃষকদের হঠানোর চেষ্টা করেও পিছু হঠেছে পুলিস। দিল্লি পুলিসের হেড কোয়াটার্র আইটিও(ITO) এবং লাল কেল্লার(Red Fort) মতো হাই সিকিউরিটি জোনেও জোর করে ঢুকে পড়েন কৃষকরা। লালাকেল্লার গম্বুজে উঠে লাগিয়ে দেওয়া হয় পতাকা। ভাঙচুর করা হয় ৮ বাস ও ১৭টি গাড়ি।



কৃষকদের এমন আচরণের নিন্দা করা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে কেউ কেউ দিল্লি পুলিসকেও দুষছেন। দিল্লির পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পঞ্জাবে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে হরিয়ানার ৩ জেলায়।



আরও পড়ুন-Farmers Protest: ধুন্ধুমার পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন Mamata 



লালকেল্লা, আইটিও-তে বিশৃঙ্খলা নিয়ে কৃষক সংগঠনের মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত(Rakesh Tikayet) বলেন, আমরা জানি কারা গোলমাল করেছে। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এই আন্দোলনকে যারা কলুষিত করার চেষ্টা করছে তা রাজনৈতিক দলের সদস্য।


এদিকে, কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করলেও বিশৃঙ্খলার বিরেধিতা করলেন রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। দিল্লিতে কৃষকদের তোলপাড় নিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, কোনও সমস্যার সমাধান হিংসা হতে পারে না। কেন্দ্রকে বলব দেশের ভালোর জন্যই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হোক।