''মনে হচ্ছে দিল্লিতে নয়, কলকাতাতেই আছি'', ষষ্ঠীর সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাংলা-পুজো

ভাঙা ভাঙা বাংলায় হলেও তিনি উচ্চারণ করলেন, বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল পূণ্য হোক.. পূণ্য হোক...পূণ্য হোক হে ভগবান।

Updated By: Oct 22, 2020, 12:29 PM IST
''মনে হচ্ছে দিল্লিতে নয়, কলকাতাতেই আছি'', ষষ্ঠীর সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাংলা-পুজো

নিজস্ব প্রতিবেদন- ''মা দুর্গার আশীর্বাদে গোটা দেশ আজ বাংলাময়।'' এই একটা লাইন-ই কি বাংলার মন জিতে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়! নিন্দুকেরা বলবেন, বাংলায় ২১-এর ভোটে ঢাকে কাঠি পড়ল। দুর্গা পুজোর বাঙালিকে শুভেচ্ছাবার্তার মাধ্যমে তিনি যেন কোনও রাজনৈতিক বার্তাও দিয়ে রাখলেন। তবে ষষ্ঠীর সকালে মহানিন্দুকও দাবি করতে পারবেন না, প্রধানমন্ত্রী একটিও রাজনৈতিক কথা বলেছেন! যেন তিনি এদিন বাংলারই একজন হয়ে এলেন। তাঁর কথায় একদিকে যেমন ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার অবদান, তেমনই ছিল বাংলার মণীষীদের প্রতি সম্মানজ্ঞাপন। তিনি এদিন যেন বাঙালি হয়েই এলেন। আকাশের মুখ যতই ভার থাকুক না কেন, ষষ্ঠীর সকালে তিনিই যেন হাসিমুখে বাংলাকে মন শক্ত রাখার মন্ত্র শিখিয়ে গেলেন।

আরও পড়ুন-  বাবুলের গলায় পুজোর গান, বাংলার সুরের মুর্ছনায় মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী

এদিন ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধনে এসে প্রধানমন্ত্রীর গোটা বক্তৃতার ৯৯ শতাংশে ছিল বাংলার কথা। সত্জিত রায় থেকে শুরু করে প্রফুল্ল চাকী, রাজা রামমোহন রায়, ক্ষুদিরাম বোসসহ বাংলার বহু স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বের কথা বললেন। তাঁর প্রতিটি কথা এদিন যেন বুঝিয়ে দিচ্ছিল, বাংলার সম্পর্কে তিনি একেবারে হোমওয়ার্ক করে এসেছেন। সেখানে ছিল মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই..., থেকে শুরু করে আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে...! ভাঙা ভাঙা বাংলায় হলেও তিনি উচ্চারণ করলেন, বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল পূণ্য হোক.. পূণ্য হোক...পূণ্য হোক হে ভগবান। তিনি এদিন স্বীকার করলেন, এই উত্সব উন্মাদনাই বাংলাকে আলাদা করে চিনিয়ে দেয়।

.