মত্সজীবী হত্যা: দিল্লি এলেন ইতালির উপবিদেশমন্ত্রী
কেরলে ভারতীয় মত্সজীবীদের গুলি করে হত্যার অভিযোগে ইতালীয় জাহাজের ২ নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রোম-দিল্লি কূটনৈতিক চাপানউতর। বুধবার ভারতে এলেন ইতালির উপবিদেশমন্ত্রী স্টাফান দে মিসটুরা।
কেরলে ভারতীয় মত্সজীবীদের গুলি করে হত্যার অভিযোগে ইতালীয় জাহাজের ২ নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রোম-দিল্লি কূটনৈতিক চাপানউতর। বুধবার ভারতে এলেন ইতালির উপবিদেশমন্ত্রী স্টাফান দে মিসটুরা। এদিন সকালে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন মিসটুরা। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, গোটা ঘটনা নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা ও তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতেই তিনি ভারতে এসেছেন।
এদিন দিল্লি পৌঁছেই কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী প্রিণীত কউরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মিসটুরা। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণর সঙ্গেও তিনি দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী সপ্তাহে ইতালির বিদেশমন্ত্রী গিউলিও টার্জি দিল্লি যাবেন বলে মঙ্গলবারই জানিয়ে দিয়েছে ইতালি। অপরদিকে, যে অস্ত্র দিয়ে ২ মত্সজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, সেই অস্ত্রগুলি খোঁজার জন্য তদন্তকারী অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছে কেরলের আদালত। এই হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ইতালীয় জাহাজের ২ নিরাপত্তারক্ষী বর্তমানে কোচি পুলিসের হেফাজতে রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে কেরলের উপকূলে জলদস্যুদের জলযান বলে ভুল করে ভারতীয় মত্সজীবীদের একটি নৌকার উপর গুলি চালান ইতালীয় জাহাজ `এনরিকা লেক্সে`র রক্ষীরা। গুলিতে আজেশ বিঙ্কি এবং জালাস্টেন নামে ২ মত্স্যজীবীর মৃত্যু হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন ওই জলযানে থাকা বাকি ৯ জন মত্সজীবী। তাঁদের অভিযোগ, কোনওরকম পূর্ব-সতর্কতা ছাড়াই গুলি চালানো হয় এনরিকে থেকে। ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নিহত ২ মত্সজীবীর পরিবার পিটিশন দাখিল করেছেন কেরল হাইকোর্টে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য বিক্ষোভও দেখাচ্ছে কেরলের মত্সজীবী সংগঠনগুলি।