নিজস্ব প্রতিবেদন: ইভিএম বিতর্কে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক হল। কংগ্রেসের দাবি, বিজেপির কাছে ইভিএম এখন ‘ইলেকশন ভিকট্রি মেশিনে’ পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে ভিভিপ্যাটের গণনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বুধবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি ইভিএম বিতর্ক নিয়ে সরব হয়েছেন।


আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টও বিজেপির হয়ে রিগিং করছে, বিতর্কিত মন্তব্য কংগ্রেস নেতার


তাঁর দাবি, “সংবাদমাধ্যম থেকে জানলাম নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবি খারিজ করে দিয়েছে। ইভিএম গণনার আগে ভিভিপ্যাট গণনার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে এই দাবি খারিজ করা হল?”


অভিষেক মনু সিংভির দাবি যে তাঁরা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিলেন ভিভিপ্যাটের সঙ্গে ইভিএমের গরমিল হলে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট গণনা হোক। সমস্যা হবে, এই যুক্তি দেখিয়ে কমিশন সেই দাবি খারিজ করেছে বলে জানিয়েছেন ওই কংগ্রেস নেতা। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।


আরও পড়ুন: বিরোধীদের হার স্বীকার করে নেওয়া উচিত, মত রবিশঙ্কর প্রসাদের


তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণ বিধিকে বিজেপি নির্বাচনী প্রচার বিধিতে পরিণত করেছে। ইভিএমকে বিজেপি এখন ইলেকশন ভিকট্রি মেশিনে বদলে ফেলেছে। তাঁর প্রশ্ন, “কমিশন পক্ষপাতিত্ব করলে তাহলে আর ওই সংস্থার স্বতন্ত্রতা কোথায় রইল? ”


প্রসঙ্গত, ১৯ মে লোকসভা নির্বাচন শেষ হতেই একাধিক সংবাদমাধ্যম সামনে এনেছে এক্সিট পোলের ফলাফল। তাতে মোদী সরকারের ক্ষমতায় ফেরার দিকেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তার পর ইভিএম নিয়ে আরও বেশি সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করতেও দেখা গিয়েছে বিরোধী নেতাদের।


আরও পড়ুন: তখতে কে? তাকিয়ে শেয়ার বাজারও


কিন্তু কমিশনের তরফে বিরোধীদের দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে প্রথমে ইভিএম গণনা করা হবে। তার পর বিধানসভা পিছু পাঁচটি বুথের ভিভিপ্যাট লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে। সেগুলি মিলিয়ে দেখা হবে।


তার পর থেকে রাজনৈতিক তরজা চরমে। কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীরা যখন নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করছে। অন্যদিকে বিজেপির তরফে বিরোধীদের সমালোচনা শুরু হয়েছে। হারের হতাশা থেকেই বিরোধীরা ইভিএমের অজুহাত দিচ্ছে বলে কটাক্ষ করছে বিজেপি।