উদার হন, সাধ্বী নিরাঞ্জনকে ক্ষমা করে দিন, লোকসভায় আবেদন মোদীর
বিরোধীদের দাবি মেনে সাধ্বী নিরাঞ্জন বিতর্কে লোকসভায় বিবৃতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নিরাঞ্জন জ্যোতির সমালোচনা করলেও কাটল না অচলাবস্থা।
নয়া দিল্লি: বিরোধীদের দাবি মেনে সাধ্বী নিরাঞ্জন বিতর্কে লোকসভায় বিবৃতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নিরাঞ্জন জ্যোতির সমালোচনা করলেও কাটল না অচলাবস্থা।
সংসদের উভয়কক্ষেই বিরোধীরা এক যোগে নিরঞ্জন জ্যোতিকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন। উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে মর্ধাহ্ন পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে সংসদ।
মোদী তাঁর বিবৃতিতে লোকসভায় সাংসদদের সাধ্বী নিরনঞ্জনের ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করার অনুরোধ করেন। 'দেশের স্বার্থে' বিরোধীদের অনুরোধ করেন যাতে পার্লামেন্টের কাজ করতে দেওয়া হয়।
মোদী তাঁর বিবৃতিতে জানান ''মন্ত্রী ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। উনি নতুন। আমরা জানি উনি গ্রাম থেকে এসেছেন।''
মোদীর মতে যখন কোনও 'বন্ধু' সবার সামনে লোকসভায় ক্ষমা চেয়ে নেন তখন সবাইকে আরও একটু উদার হয়ে সেই তার মর্যাদা দেওয়া উচিৎ।
''পার্লামেন্টে এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার আগেই আমি সাধ্বীর মন্তব্যের সমালোচনা করেছিলাম', মন্তব্য মোদীর।
তবে মোদীর বিবৃতি বিরোধীদের মন যে ভিজছে না আজ সংসদের উভয়কক্ষেই তাঁদের আচরণে তা স্পষ্ট। তাঁদের মতে এই ধরণের গুরুতর বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য শুধু ক্ষমা প্রার্থনা যথেষ্ট নয়।
গতকাল রাজ্যসভাতেও সাধ্বী নিরাঞ্জনের মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার রাজধানীতে একটি মিছিলে উত্তরপ্রদেশের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেন, দিল্লির মানুষদেরই ঠিক করতে হবে তারা রামজাদের সরকার চায়, না হারামজাদের। মঙ্গলবার এই নিয়ে সংসদে ক্ষমাও চেয়ে নেন ৪৭ বছরের জ্যোতি। কিন্তু সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর জন্য তার পদত্যাগ দাবি করেছেন বিরোধী সাংসদরা। তাঁর মন্তব্যের পর জ্যোতি বলেন, আমি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। এর বেশি কী করতে পারি?