পুলিস হেফাজতে মৃত্যুর মামলায় গুজরাটের প্রাক্তন পুলিসকর্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১৯৯০ সালে গুজরাটের জামনগরে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় প্রায় ১৫০ জনকে গ্রেফতার করেন তত্কালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জিব ভাট। এদের মধ্যে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
![পুলিস হেফাজতে মৃত্যুর মামলায় গুজরাটের প্রাক্তন পুলিসকর্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পুলিস হেফাজতে মৃত্যুর মামলায় গুজরাটের প্রাক্তন পুলিসকর্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/06/20/197737-sanjiv-bhatt.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯৯০ সালে এক ব্যক্তির পুলিসি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল ১৯৮৮-র ব্যাচের আইপিএস সঞ্জিব ভাটের। গুজরাটের একটি আদালত আজ এই রায় দিয়েছে। একই মামলায় আরও ৬ পুলিশ কর্মীর সাজা ঘোষণা এখনও বাকি রয়েছে।
১৯৯০ সালে গুজরাটের জামনগরে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় প্রায় ১৫০ জনকে গ্রেফতার করেন তত্কালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জিব ভাট। দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার হওয়া এই ১৫০ জনের মধ্যে প্রভূদাস বৈষ্ণনী নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। প্রভূদাস বৈষ্ণনীর পরিবারের পক্ষ থেকে সঞ্জিব ভাট-সহ অন্য ৬ পুলিস কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। ওই মামলায় আজ রায় দিল গুজরাটের একটি আদালত।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে
এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন কারণে সংবাদের শিরোনামে এসেছে এই সঞ্জিব ভাটের নাম। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২০০২ সালের একটি ঘটনা। ২০০২-এ সঞ্জিব ভাট সুপ্রিম কোর্টে গুজরাটের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে রাজ্যের দাঙ্গায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে একটি হলফনামা জমা দেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সঞ্জিব ভাট গুজরাট পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার পদে নিযুক্ত ছিলেন। মোদীর বিরুদ্ধে সঞ্জিব ভাটের এই অভিযোগে সে সময় দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন মহলে গুজরাটের ওই দাঙ্গা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।