ভোটের মাঝেই কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হানা, সংঘর্ষে মৃত ২০, হামলার পিছনে ইসলামাবাদের হাত দেখছে দিল্লি

ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যেই কাশ্মীরে উপস্থিতির জানান দিল জঙ্গিরা। ১২ ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালানো হল উপত্যকার চারটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে মারা গেছেন মোট ২০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে লস্কর-এ-তৈবার প্রথমসারির এক কমান্ডার।   

Updated By: Dec 5, 2014, 10:52 PM IST
ভোটের মাঝেই কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হানা, সংঘর্ষে মৃত ২০, হামলার পিছনে ইসলামাবাদের হাত দেখছে দিল্লি

শ্রীনগর: ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যেই কাশ্মীরে উপস্থিতির জানান দিল জঙ্গিরা। ১২ ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালানো হল উপত্যকার চারটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে মারা গেছেন মোট ২০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে লস্কর-এ-তৈবার প্রথমসারির এক কমান্ডার।   

সোমবারই শ্রীনগরে নির্বাচনী সভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। তার আগেই উপস্থিতির জানান দিল জঙ্গিরা। হামলা হল উপত্যকার চারটি জায়গায়।

শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ একটি বারামুলা জেলার উরিতে একটি সেনাছাউনিতে হামলা হয়। দ্বিতীয় হামলাটি হয় শ্রীনগরের সৌরায়। পুলিস চেকপোস্টে গুলি চালায় দুই জঙ্গি। নিরাপত্তারক্ষীদের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় এক লস্কর কমান্ডারের। তৃতীয় হামলাটি হয় সোপিয়ানে। একটি থানায় গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। চতুর্থ হামলাটি হয় পুলওয়ামায় ত্রাল এলাকায়। বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্করের দাবি, উপত্যকার জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসে সাম্প্রতিক অতীতে সাফল্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। তাই, মরিয়া হয়ে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দুষেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।  

হামলা নিয়ে টুইটে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছেন মানুষ। শান্তি ও সম্প্রীতির সেই বাতাবরণ নষ্ট করতেই মরিয়া হয়ে হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। জঙ্গি হামলার পরেও অবশ্য শ্রীনগর সফর বাতিল করছেন না প্রধানমন্ত্রী। সোমবার নির্ধারিত সময়েই শের-এ-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে ভাষণ দেবেন তিনি।

 বিধানসভা ভোট চলাকালীন উপত্যকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পিছনে পাকিস্তানের সুপরিকল্পিত হাত দেখছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের প্রথম দুই পর্ব শেষ হয়েছে। দু-দিনই উপত্যকার মানুষ দলে দলে বুথে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। ভোটের হার বেশি হওয়াটা কাশ্মীরের স্থায়িত্ব ও গণতন্ত্রের পক্ষে সেখানকার মানুষের রায় হিসাবেই মনে করা হচ্ছে। আর যার ফলে জঙ্গিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ভোটের মধ্যে হামলা চালিয়ে তারা উপত্যকার পরিস্থিতি অশান্ত করতে চাইছে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি, পাক সরকারের সহায়তায় প্রকাশ্য জনসভা করেছেন জামাত-উদ-দাওয়া নেতা হাফিজ সইদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপরই জঙ্গিরা কাশ্মীরে তাদের সক্রিয়তা বাড়িয়ে জানান দিতে চাইছে যে তারা রক্তক্ষয়ী হামলা চালানোর জন্য সবসময় তৈরি। ২৬/১১-এর পর নিরাপত্তার কড়াকড়ি বেড়ে যাওয়ায় সন্ত্রাস ছড়াতে ছায়াযুদ্ধের ওপরই নির্ভর করছে  পাকিস্তান। দিল্লিকে ফের আলোচনার টেবিলে আনতে পাক সেনার মদতে জঙ্গিরা হামলা চালাচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

উপত্যকায় জঙ্গি হামলার পিছনে ইসলামাবাদের হাত দেখছে দিল্লিও।

.