নিজস্ব প্রতিবেদন- ‘Freedom 251’. মাত্র ২৫১ টাকায় দেশবাসীকে স্মার্টফোন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই ব্যবসায়ী মোহিত গোয়েলের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও স্মার্টফোন কেলেঙ্কারিতে একবার জেলে গিয়েছিলেন তিনি। আর এবার ড্রাই ফুট জালিয়াতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাঁর কাছ থেকে ৬০ কেজি ড্রাই ফ্রুট, দুটি অডি গাড়ি ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজগপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। এর আগেও আদালত তাঁর গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। না হলে অনেক আগেই গ্রেফতার হতেন মোহিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

‘দুবাই ড্রাই ফ্রুটস অ্যান্ড স্পাইসেস হাব’ নামে একটি সংস্থা ছিল মোহিতের নামে। সেই সংস্থা দেশের বিভিন্ন জায়গার ছোট ব্যবসায়ীদের থেকে ড্রাই ফ্রুট কিনত। তার পর সেগুলি দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় চড়া দামে বিক্রি করত। মোহিতের বিরুদ্ধে ছোট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রথমে অর্ডার ধরার জন্য মোহিত মাল পৌঁছনোর আগেই অর্ধেক পেমেন্ট করে দিতেন। তবে ব্যবসা বাড়ার পর অর্ধেক বা তার বেশি পেমেন্ট করতেন চেকে। সেই চেক ভাঙাতে গেলেই বাউন্স করত। তার পর ব্যবসায়ীরা মোহিতের সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলে অজুহাত দিত কর্তারা। এভাবে দিনের পর দিন ব্যবসায়ীদের ঠকিয়েছে মোহিতের সংস্থা। অভিযোগ এমনই গুরুতর।


আরও পড়ুন-  দুঃসময়ে ভরসা PM CARES, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য Vaccine কেনার টাকা জোগাবে তহবিল


নয়ডার সেক্টর ৬২-তে একটি অফিস নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন মোহিত। তাঁর সঙ্গে ব্যবসায় অংশীদার ছিলেন আরও কয়েকজন। এদিন নয়ডা থেকেই মোহিত ও আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্নাটক, বাংলা, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জালিয়াতি করেছেন মোহিত। তাঁর সংস্থায় তিনজন বিদেশি নাগরিক কাজ করতেন বলেও জানতে পেরেছে পুলিস। মোহিতের নামে এমনিতেও ৪০টিরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিসের কাছে। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগের পর পুলিসের একটি দল তাঁর উপর গত কয়েকদিন ধরে নজর রাখছিল। নয়ডারই এক ব্যবসায়ী সবার আগে মোহিতের নামে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ফ্রিডম ২৫১’ স্মার্টফোন দেশবাসীর হাতে তুলে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই মোহিত। এর পর অগ্রিম বুকিং শুরু হয়।  পেটিএম এবং অনলাইনে টাকা দিয়েছিলেন অনেকেই। সেই ফোন আজ পর্যন্ত কেউ পায়নি। মোহিতও গা ঢাকা দেন। সেই সময় প্রধানণন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দিয়ে একটি বিজ্ঞাপনের প্রচারও করেছিলেন মোহিত।