মহাকাশে মানব পাঠানোর প্রকল্প গগনযানকে সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্র

 গঙ্গায়ন মিশন সফল হলে মহাকাশে মানব পাঠানোয় বিশ্বে চতুর্থ দেশ হবে ভারত।   

Updated By: Jan 1, 2020, 04:36 PM IST
মহাকাশে মানব পাঠানোর প্রকল্প গগনযানকে সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে মহাকাশে মানব পাঠানোর ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার  গগনযানপ্রকল্পে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তিন সদস্যের দলটি অন্তত ৭দিন কাটাবে মহাকাশে। প্রকল্পের খরচ ১০,০০০ কোটি টাকা।  গগনযান মিশন সফল হলে মহাকাশে মানব পাঠানোয় বিশ্বে চতুর্থ দেশ হবে ভারত।   

শ্রীহরিকোটা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে মহাকাশে তিনজন ভারতীয়কে পাঠানোর নিজেদের বৃহত্তম রকেট GSLV Mk III ব্যবহার করবে ইসরো।

আগামী ৪০ মাসের মধ্যেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর ভাবনাচিন্তা করছে ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান কে সিবন জানিয়েছিলেন,''২০২২ সালের আগে এটা করতে চাইছি। হাতে স্বপ্ল সময় থাকলেও এটা করব''।

ভারতীয় মহাকাশচারীদের ব্যোমচারী নাম দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ইসরো। সংস্কৃতে ব্যোম শব্দের অর্থ মহাকাশ। 

মানব পাঠানোর যান নির্মাণে ইতিমধ্যে ১৭৩ কোটি টাকা খরচ করেছে ইসরো। ২০০৮ সালে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু বিশাল অর্থ খরচে অর্থনীতিতে চাপ পড়তে পারে, সেই আশঙ্কায় স্থগিত করা হয়েছিল।  

আরও পড়ুন- বেকার ও গরিবদের অ্যাকাউন্টে মাসের শেষে টাকা, বাজেটেই বড় ঘোষণা!

মহাকাশে যান পাঠানো সহজ তবে ফিরিয়ে আনাটাই কষ্টসাধ্য। ২০০৭ সালে সেই পরীক্ষা করেছে ইসরো। ৫৫০ কিলোগ্রামের উপহার মহাকাশে পাঠানোর পর তা ফেরত আনা হয়েছিল। পরে ২০১৪ সালে ক্রিউ মডিউলের পরীক্ষা করে ইসরো। তখন পাঠানো হয়েছিল ৩,৭৪৫ কিলোগ্রামের একটি মহাকাশযান। পরে তা বঙ্গোপসাগরে সফলভাবে অবতরণ করানো হয়। চলতি বছরের শুরুতে ৫ জুলাই ১২.৫ টনের ক্রিউ মডিউল প্যাড অ্যাবোর্ট পরীক্ষা করা হয়। উত্ক্ষেপণের সময় দুর্ঘটনা হলে যাতে মহাকাশচারীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়, সেটাই এই পরীক্ষায় দেখে নেয় ইসরো।  

.