উত্তরাখণ্ডে সঙ্কট কাটিয়ে স্পিকার নির্বাচনে জয়ী কংগ্রেস
ঠিক দেড় সপ্তাহ আগে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে `বঞ্চিত` হয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন তিনি। এদিন কিন্তু সেই হরিশ রাওয়াতের বদান্যতাই রাজ্য বিধানসভায় কার্যত সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলেন সোনিয়া গান্ধী মনোনীত মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণা। রাজ্য বিধানসভার স্পিকার নির্বাচনে বিজেপি`র হেভিওয়েট নেতা হরবংশ কাপুরকে পরাজিত করলেন কংগ্রেস প্রার্থী গোবিন্দ সিং কুঞ্জওয়াল।
ঠিক দেড় সপ্তাহ আগে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে `বঞ্চিত` হয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন তিনি। বিজয় বহুগুণাকে দেরাদুনের কুর্সিতে বসানোর দলীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষি ও সংসদীয় প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে। এদিন কিন্তু সেই হরিশ রাওয়াতের বদান্যতাই রাজ্য বিধানসভায় কার্যত সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলেন সোনিয়া গান্ধী মনোনীত মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণা। রাজ্য বিধানসভার স্পিকার নির্বাচনে বিজেপি`র হেভিওয়েট নেতা হরবংশ কাপুরকে পরাজিত করলেন কংগ্রেস প্রার্থী গোবিন্দ সিং কুঞ্জওয়াল। আলোমোড়ার যজ্ঞেশ্বর থেকে নির্বাচিত হরিশ রাওয়াত-ঘনিষ্ঠ কুঞ্জওয়াল পেয়েছেন ৩৯টি ভোট। প্রাক্তন স্পিকার হরবংশ কাপুরের ভাগ্যে জুটেছে ৩১টি।
গত এক সপ্তাহ ধরেই জনার্দন দ্বিবেদী, চৌধুরি বীরেন্দ্র সিংয়ের মতো এআইসিসি পদাধিকারীরা ক্ষুব্ধ হরিশ রাওয়াতের মানভঞ্জনের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাতে ফল মেলে। শুক্রবার রাতে নিজের অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠকের পর হরিশ রাওয়াত দলের `অনুগত সৈনিক` হিসেব হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা জানান উত্তরাখণ্ডের রাজপুত নেতা। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণার সঙ্গে বৈঠকের পর হরিশ অনুগামী ১১ বিধায়ক প্রোটেম স্পিকারের কাছে শপথ নেন। কার্যত এর পরই স্থির হয়ে যায় দেরাদুনের কুরসির ভাগ্য। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে ৭০ আসনের উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় ৩২টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। তা ছাড়া বহুজন সমাজ পার্টির ৩, উত্তরাখণ্ড ক্রান্তি দলের ১ এবং ৩ নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে কংগ্রেসের পিছনে। ইতিমধ্যেই আর ভি গ্রাডনার `মনোনীত বিধায়ক` হিসেবে শপথ নেওয়ায় ট্রেজারি বেঞ্চের শক্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০। অন্যদিকে বিরোধী দল বিজেপি`র বিধায়ক সংখ্যা ৩১।
বস্তুত, শাসক শিবিরে ঐক্যের ইঙ্গিত মেলার পরই উত্তরাখণ্ডের দলীয় বিধায়কদের সরিয়ে মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়িনীতে নিয়ে যায় বিজেপি। `ঘোড়া কেনাবেচা`র সম্ভাবনা ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেয় টিম গডকড়ি। অবশ্য এদিন যথাসময়ই বিধানসভা ভবনে হাজির হয়ে স্পিকার নির্বাচনে অংশ নেন বিজেপি বিধায়করা।