দেশের বাজারে ফিল গুড ফিলিং, দুশ্চিন্তার ভ্রুকুটি ইউরোপ,জাপানে
আন্তর্জাতিক বাজারে রেকর্ড পড়ে গেল অপরিশোধিত তেলের দাম। যার জেরে চাঙ্গা সেনসেক্স। রেকর্ড উচ্চতায় নিফটিও। দেশীয় বাজারে ফিল গুড অনুভূতি। কিন্তু, ইউরোপ ও জাপানে ফের মন্দার ভ্রুকুটি।
ব্যুরো: আন্তর্জাতিক বাজারে রেকর্ড পড়ে গেল অপরিশোধিত তেলের দাম। যার জেরে চাঙ্গা সেনসেক্স। রেকর্ড উচ্চতায় নিফটিও। দেশীয় বাজারে ফিল গুড অনুভূতি। কিন্তু, ইউরোপ ও জাপানে ফের মন্দার ভ্রুকুটি।
নজিরবিহীন ভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেলপ্রতি ৭২ ডলারে নেমে গেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। চার বছরে এই দাম সর্বনিম্ন। যার জেরে চাঙ্গা ঘরোয়া বাজার। ৩০০ পয়েন্ট বেড়ে, নতুন শিখরে সেনসেক্স। নিফটিও ৮ হাজার ৫৯১ পয়েন্টের রেকর্ড উচ্চতায়। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এভাবেই পড়তে থাকলে লাভবান হবে ভারতের আমদানি নির্ভর অর্থনীতি। এতে ডলারের নিরিখে টাকার মূল্য যেমন বাড়বে তেমনই বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়। আর্থিক ঘাটতি কমবে, কমবে মুদ্রাস্ফীতি, বাড়বে বৃদ্ধির হার।
অর্থনীতির ফিলগুড ফ্যাক্টর প্রভাব ফেলবে জাতীয় রাজনীতিতেও। এভাবে চলতে থাকলে মোদী সরকার সহজেই আর্থিক বৃদ্ধির ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌছতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উন্নয়নের ঘোড়া ছোটানোর জন্য বাড়তি টাকাও থাকবে কেন্দ্রের হাতে। কিন্তু, মুদ্রার অন্যপিঠের ছবিটা আশঙ্কার। তেলের দাম ক্রমশ পড়ায় বহু দেশে মন্দার কালো মেঘ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদপাদন কমিয়ে দিতে পারে তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন, ওপেক। যা হলে আবার টান পড়বে জ্বালানিতে। তাই আশু লাভের আশা থাকলেও, ভবিষ্যতের ক্ষতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।