বিতর্কিত বিষয়বস্তু প্রত্যাহার গুগল, ফেসবুকের

শেষ পর্যন্ত ভারত সরকার ও বিচারবিভাগের কড়া অবস্থানের মুখে পিছু হটল গুগল এবং ফেসবুক, মাইক্রোসফট ইয়াহু-সহ ২২টি ওয়েবসাইট।

Updated By: Feb 6, 2012, 01:45 PM IST

শেষ পর্যন্ত ভারত সরকার ও বিচারবিভাগের কড়া অবস্থানের মুখে পিছু হটল গুগল এবং ফেসবুক, মাইক্রোসফট ইয়াহু-সহ ২২টি ওয়েবসাইট। সোমবার সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটগুলির তরফে দিল্লি মেট্রোপলিটন আদালতে জানিয়ে দেওয়া হল, 'ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া', 'জাতীয় সংহতি বিপন্ন করা' এবং 'বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা উস্কে দেওয়া'র দায়ে অভিযুক্ত বিতর্কিত 'পোস্টিং'গুলি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। বস্তুত গুগলের তরফে আদালতকে ইতিমধ্যেই যাবতীয় আপত্তিকর বিষয়বস্তু সরিয়ে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। তবে ইয়াহু এবং মাইক্রোসফট-এর দাবি, এই মামলায় তাদের কোনও ভূমিকা নেই।
রোহিণী আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রদীপ কুমার সিংহ এদিন ২২টি ওয়েব সংস্থাকে ১৫ দিনের মধ্যে যাবতীয় আপত্তিকর বিষয়বস্তুর আন্তর্জাল প্রচার বন্ধ করে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। ১ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। উল্লেখ্য, দিল্লির অন্য একটি আদালতে অশ্লীল বিষয়বস্তুর প্রচার এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির বিরুদ্ধে বিচারাধীন রয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী কপিল সিব্বল অভিযোগ করেছিলেন, বিতর্কিত বিষয়বস্তু সরানো নিয়ে তাঁর 'অনুরোধ' ওয়েবসাইটগুলি মানেনি।

অন্তর্জাল বিধির নানা অনিয়ম ও বিতর্কিত বিষয়বস্তু প্রচারের অভিযোগে ২৩ ডিসেম্বরই ওয়েবসাইটগুলিকে সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। ওই সব ওয়েবসাইটে আপত্তিকর বিষয়বস্তু সরানো নিয়ে দিল্লির নিম্ন আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন জনৈক বিনয় রাই। এই মামলায় দিল্লি হাইকোর্টে পাল্টা আবেদন জানায় ওয়েবসাইটগুলি। কিন্তু হাইকোর্টে এই বিষয়ে কোনও স্তগিতাদেশ জারি করতে রাজি হয়নি। গত ১২ জানুয়ারি দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতকারী বিষয়বস্তু প্রত্যাহার না করা হলে চিনে যেমন করা হয়েছে, তেমন এ দেশেও প্রয়োজনে ওয়েবসাইটগুলি 'ব্লক' করে দেওয়া যেতে পারে।
এর পর দিনই ২১টি সার্চ ইঞ্জিন ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সংস্থাকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেয় দিল্লি মেট্রোপলিটন আদালত। গুগল ইন্ডিয়া-সহ কয়েকটি সংস্থার আইনজীবী জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু ওয়েবসাইটের মূল দফতর বিদেশে। ফলে সেগুলোর ভারতীয় শাখার অফিসে সমন পাঠানোর অর্থ নেই। এর পরে বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে সমন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।

.