‘শুধু আমার ছেলে নয়, ছাড়তে হলে ভারতের সব যুদ্ধবন্দিকে ছাড়ুন’, আয়ুব খানের প্রস্তাব এভাবেই ফিরিয়েছিলেন ফিল্ড মার্শাল কারিয়াপ্পা

আরও একটি বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফিল্ড মার্শাল কারিয়াপ্পা

Updated By: Mar 1, 2019, 10:59 AM IST
‘শুধু আমার ছেলে নয়, ছাড়তে হলে ভারতের সব যুদ্ধবন্দিকে ছাড়ুন’, আয়ুব খানের প্রস্তাব এভাবেই ফিরিয়েছিলেন ফিল্ড মার্শাল কারিয়াপ্পা

নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘরে ফিরছেন পাক হেফাজতে থাকা বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তার জন্য অধীর অপেক্ষায় গোটা দেশ। অভিনন্দনের গোটা পরিবারটাই দেশরক্ষায় নিয়োজিত। বাবা সিমহাকুট্টি প্রাক্তন এয়ারমার্শাল। দাদা ও স্ত্রীও রয়েছেন বায়ুসেনায়। এরকম এক অবস্থায় টানা চারদিন নিজের স্নায়ু শক্ত রেখেছেন সিমহা কুট্টি। এরকমই এক ঘটনা ঘটে ফিল্ড মার্শাল কারিয়াপ্পার জীবনে।

আরও পড়ুন-তাপমাত্রা কমল ২ ডিগ্রি, উত্তুরে হাওয়ায় ফের রাজ্যে শীতের আমেজ

১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধে ফিল্ড মার্শাল কারিয়াপ্পার ছেলের বিমানকে গুলি করে নামায় পাক বাহিনী। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যুদ্ধবন্দি হিসেবে ঘোষণা করা হয় কারিয়াপ্পার ছেলেকে।

এদিকে জেরায় বেরিয়ে আসে কে এই তরুণ বায়ুসেনা অফিসার। তাঁর পরিচয় পেয়েই চমকে ওঠেন তত্কালীন পাক সেনাপ্রধান আয়ুব খান। তিনি সরাসারি ফোন করেন কারিয়াপ্পাকে। তাঁর ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন।

আয়ুব খানের ফোন পেয়ে কারিয়াপ্পা উত্তর দেন, ‘ও এখন আর আমার সন্তান নয়। ও আমাদের গোটা দেশের সন্তান। এখন একজন দেশপ্রেমীর মতো দেশের জন্য লড়াই করছে। আপনি যে আমার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন তার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমার অনুরোধ ভারতের অনেক সেনা পাকিস্তানে বন্দি। দয়াকরে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেন। আমার ছেলেকে আলাদা কোনও সুবিধে দেবেন না।’

আরও পড়ুন-মালদা সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার দুই JMB জঙ্গি

আরও একটি বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফিল্ড মার্শাল কারিয়াপ্পা। সেনা বাহিনীকে সংরক্ষণের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন কারিয়াপ্পা। জওহরলাল নেহরু তখন প্রধানমন্ত্রী। তিনি একটি নোট পাঠান কারিয়াপ্পাকে। নির্দেশ ছিল সংরক্ষণ চালু করতে হবে। কারিয়াপ্পা পাল্টা লেখেন, সেনাবাহিনীতে চাকরি হবে মেধার ভিত্তিতে। যার সাহস রয়েছে, মেধা রয়েছে তারই স্থান হবে সেনায়। কোনও সংরক্ষণ দেওয়া হবে না।

.