বাবা যেখানে চা বিক্রি করেন, সেই কোর্টে বিচারক হলেন মেয়ে
দেশের প্রধানমন্ত্রী একসময় চা বিক্রি করতেন। এবার এক চা বিক্রেতার মেয়ে দেশের আদালতের বিচারক হলেন। পঞ্জাবের জলন্ধরের এক আদালত চত্বরে চা বিক্রি করে সংসার চালানো সুরেন্দ্র কুমার নামের এক ব্যক্তির মেয়ে ওই কোর্টেরই বিচারক হলেন। সুরেন্দ্রর মেয়ে শ্রুতি পড়াশোনায় শুরু থেকেই ভাল ছিল। বছর ২৩-এর শ্রুতি প্রথম বারেই পাশ করেছেন পঞ্জাব সিভিল সার্ভিস(জুডিসিয়াল) পরীক্ষা। এরপর একবছর ট্রেনিং-এর পর এখন পঞ্জাবের জলন্ধরে নাকোদার শহরের সাব-ডিভিশনার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারকের পদে নিযুক্ত হলেন। এসসি ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন শ্রুতি।
![বাবা যেখানে চা বিক্রি করেন, সেই কোর্টে বিচারক হলেন মেয়ে বাবা যেখানে চা বিক্রি করেন, সেই কোর্টে বিচারক হলেন মেয়ে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2015/12/30/47202-lop.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: দেশের প্রধানমন্ত্রী একসময় চা বিক্রি করতেন। এবার এক চা বিক্রেতার মেয়ে দেশের আদালতের বিচারক হলেন। পঞ্জাবের জলন্ধরের এক আদালত চত্বরে চা বিক্রি করে সংসার চালানো সুরেন্দ্র কুমার নামের এক ব্যক্তির মেয়ে ওই কোর্টেরই বিচারক হলেন। সুরেন্দ্রর মেয়ে শ্রুতি পড়াশোনায় শুরু থেকেই ভাল ছিল। বছর ২৩-এর শ্রুতি প্রথম বারেই পাশ করেছেন পঞ্জাব সিভিল সার্ভিস(জুডিসিয়াল) পরীক্ষা। এরপর একবছর ট্রেনিং-এর পর এখন পঞ্জাবের জলন্ধরে নাকোদার শহরের সাব-ডিভিশনার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারকের পদে নিযুক্ত হলেন। এসসি ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন শ্রুতি।
মেয়ের বিচারক হওয়ার খবরে বাবার চোখে খুশির জল। চা বিক্রেতা সুরেন্দ্র বললেন, 'এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলাম। বিশ্বাস ও এরকম একটা কিছু করবে।' কথাটা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। আর মেয়ে শ্রুতি কী বলছেন। শ্রুতি বললেন, আমার কাজটা সহজ ছিল না ঠিকই। কিন্তু বাবাকে চা বিক্রি করতে দেখে জেদটা চেপে গিয়েছিল। সেই জেদটার জন্যই হয়তো স্বপ্নের চাকরিটা করতে পারছি। সঙ্গে বলেন, 'আমি সবসময়ই চাইতাম কোনও আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে। বিশেষত চাইতাম বিচারক হতে। তাই এই পরীক্ষায় বসা। এবং প্রথমবারেই সাফল্য।'এত বড় সাফল্যের পর শ্রুতিকে নিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে উচ্ছ্বাস, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।