সম্মানরক্ষায় খুন হরিয়ানায়, শিরশ্ছেদ প্রেমিকের, জ্বালিয়ে দেওয়া হল প্রেমিকাকে

ফের সম্মানরক্ষায় খুন হরিয়ানায়। ধড় থেকে আলাদা করে দেওয়া হল ছেলের মাথা। এবং মেয়েকে খুন করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটির পোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিস।

Updated By: Sep 19, 2013, 10:35 PM IST

ফের সম্মানরক্ষায় খুন হরিয়ানায়। ধড় থেকে আলাদা করে দেওয়া হল ছেলের মাথা। এবং মেয়েকে খুন করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটির পোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়ের বাড়ির লোকজন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নিন্দা করা হলেও এই ধরনের ঘটনা বন্ধে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব লক্ষ করেছে জেডিইউ। রোহতাকের কালানওর জেলার ঘর্নাবতী গ্রামে জাঠ পরিবারের সন্তান ধর্মেন্দ্র এবং নিধির মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। ১৮ তারিখ তারা কলেজে যাওয়ার নাম করে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। নিধির বাড়ির লোকজন মোবাইলে যোগাযোগ করে জানতে পারেন তাঁরা দিল্লিতে আছেন। শুনেই নিধির আত্মীয়স্বজন সটান রওনা হয়ে যান রাজধানীর উদ্দেশ্যে। ফিরে এলে তাঁদের কোনও ক্ষতি করা হবে না, এই আশ্বাস দিয়ে গ্রামে নিয়ে আসা হয় যুগলকে। কিন্তু গ্রামে আসতেই ধর্মেন্দ্রকে বেধড়ক মারধর করা হয়। হাত-পা ভেঙে যায় ২৩ বছরের যুবকের। তারপর ধর্মেন্দ্রর মাথা ধড় থেকে আলাদা করে ফেলে আসা হয় তাঁরই বাড়ির সামনে। আর নিধিকে সর্বসমক্ষে খুন করে জ্বালিয়ে দেয় তার পরিবারেরই লোকজন।
 
কংগ্রেস ঘটনার নিন্দা করেছে। রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র সত্তর কিলোমিটার দূরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর জেডিইউয়ের অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনা বন্ধে রাজনৈতিক কোনও উদ্যোগই নেই। সম্মান রক্ষায় খুনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ রয়েছে। এই ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যুগলকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিস, প্রশাসনকে নির্দেশও দিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। কিন্তু তাতে যে লাভের লাভ কিছুই হয়নি, ধর্মেন্দ্র এবং নিধি প্রাণ দিয়ে আরও একবার সেটাই দেখিয়ে দিয়ে গেল।

.