অসমে NDFB জঙ্গি হানায় নিহত ৭০, সেনা নামাল কেন্দ্র
অসমে এনডিএফবির হামলায় নিহতের সংখ্যা সত্তর ছাড়াল। কোকড়াঝাড়-শোনিতপুরের একাধিক জায়গায় কারফিউ জারি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি। আদিবাসীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিসকে গুলি চালাতে হয়। সব মিলিয়ে বুধবারও অসম থাকল উত্তপ্ত।
গুয়াহাটি: অসমে এনডিএফবির হামলায় নিহতের সংখ্যা সত্তর ছাড়াল। কোকড়াঝাড়-শোনিতপুরের একাধিক জায়গায় কারফিউ জারি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি। আদিবাসীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিসকে গুলি চালাতে হয়। সব মিলিয়ে বুধবারও অসম থাকল উত্তপ্ত।
কোকড়াঝাড় আর শোনিতপুর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এখানেই আদিবাসীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় এনডিএফবির জঙ্গিরা।
মঙ্গলবার ভারত-ভূটান সীমান্তের জয়ন্তী পাহাড় থেকে নেমে এসেই আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে এনডিএফবির বিরুদ্ধে নেমেছে আধাসেনা। এর জেরেই এই নারকীয় হত্যালীলা।
হামলার পরই নিন্দা সরব হয়েছে সব মহল। অসম সরকারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবারের হামলার পর থেকেই কোকড়াঝাড় ও শোনিতপুরের একাধিক থানা এলাকায় জারি হয়েছে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ। শুনশান রাস্তাঘাট।
বুধবার শোনিতপুরের বিশ্বনাথচারালিতে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে পথে নামেন আদিবাসীরা। বিক্ষোভ-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিভিন্ন এলাকা। ঢেকিয়াঝুলিতে বিক্ষোভ হটাতে গুলি চালায় পুলিস।
অসমের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঠানো হয়েছে পঞ্চাশ কোম্পানি সিআরফিএফ। টহলে নামানো হয়েছে আধাসেনা। এন়ডিএফবির জঙ্গিহানার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে সংলগ্ন অরুণাচল প্রদেশেও।