“আগে হ্যাঁ বলো, না হলে গাড়ি স্টার্ট করব না”

তিনি শিল্পপতি। তাঁর স্ত্রী IPL-এ একটি ক্রিকেটদলের মালকিন। আজ তাঁরা ভারতের সবচেয়ে ধনী দম্পতি। কিন্তু এ গল্প তাদের নয়। এ গল্প যুবতী নীতা ও উঠতি শিল্পোদ্যোগী মুকেশের…

Updated By: Feb 13, 2016, 02:10 PM IST
“আগে হ্যাঁ বলো, না হলে গাড়ি স্টার্ট করব না”

ওয়েব ডেস্ক : তিনি শিল্পপতি। তাঁর স্ত্রী IPL-এ একটি ক্রিকেটদলের মালকিন। আজ তাঁরা ভারতের সবচেয়ে ধনী দম্পতি। কিন্তু এ গল্প তাদের নয়। এ গল্প যুবতী নীতা ও উঠতি শিল্পোদ্যোগী মুকেশের…

গুজরাটি পরিবারে বেড়ে ওঠা নীতা ছোটোবেলা থেকেই নাচে পারদর্শী। মুকেশের সঙ্গে যখন আলাপ, তখন তিনি ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী হিসেবে বেশ নাম করেছেন। গুজরাটের জায়গায় জায়গায় তাঁর নাচের অনুষ্ঠান হচ্ছে। এরকমই একদিন এক নাচের অনুষ্ঠানে নীতার নৃত্যকলায় মুগ্ধ হন ধীরুভাই আম্বানি। একদিকে অসম্ভব সুন্দরী, অন্যদিকে ঐতিহ্যের মিশেল। আর দেরি না করে আয়োজকদের কাছ থেকে তরুণী নীতার ঠিকানা, ফোন নাম্বার জোগাড় করে ফেলেন রিলায়েন্সের প্রাণপুরুষ।

পরদিনই নীতার বাড়িতে ফোন যায়। ফোন ধরেন নীতা নিজেই। ফোনের ওপারে তখন ধীরুভাই আম্বানি। এদিকে কোনও উদ্ভট লোকের ফোন ভেবে লাইন কেটে দেন নীতা। মশকরা করে নিজেকে এলিজ়াবেথ টেলর বলেও জানান তিনি। দমে না গিয়ে এরপর আবার ফোন করেন ধীরুভাই আম্বানি। এবার ফোন ধরেন নীতার বাবা। অবশেষে বাবার জোরাজুরিতেই ধীরুভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে মত দেন নীতা।

অফিসে তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর একদিন নীতাকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান ধীরুভাই। ইতিমধ্যে অবশ্য কোনও রাখঢাক না রেখে মুকেশের জন্য নীতার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পেড়ে ফেলেছেন ধীরুভাই আম্বানি।

সেদিন আম্বানি বাড়ির ডোরবেলটা বাজতেই দরজা খুলেছিলেন মুকেশ। সামনে তখন দাঁড়িয়ে সুন্দরী নীতা। এতদিনে বাবার কাছে নীতার সম্পর্কে প্রচুর প্রশংসা শুনে ফেলেছেন মুকেশ। নিজেরা দুজনে অল্প কিছুক্ষণ কথা বলার পর ঠিক করেন বাইরে কোথাও দেখা করবেন।

শুরু হয় মুকেশ-নীতার প্রেমপর্ব। তবে তখনও বিয়ের ব্যাপারে মনস্থির করতে পারেননি নীতা। পড়াশোনাটা আগে শেষ করে নেওয়াই তখন তাঁর লক্ষ্য। এমন সময়ই একদিন নীতাকে পাশে বসিয়ে পোদ্দার রোড দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন মুকেশ। সিগন্যাল লাল দেখে গাড়ি দাঁড় করান মুকেশ। তখনও নীতা জানতেন না, এরপর কী হতে চলেছে! সিগন্যাল সবুজ হয়। কিন্তু, মুকেশ আর গাড়ি স্টার্ট দেন না। রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম হতে শুরু করে। নীতার শত অনুরোধেও সেদিকে তখন ভ্রূক্ষেপ নেই মুকেশ আম্বানির। তাঁর নাছোড় প্রশ্ন, “আমায় বিয়ে করবে?” ফের একই প্রশ্ন, “আমায় বিয়ে করবে?” এরপর মুকেশের প্রচ্ছন্ন ‘হুমকি’। উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত গাড়ি স্টার্ট করবেন না তিনি। উপায় না দেখে অগত্যা “হ্যাঁ”-টা বলেই ফেলেন নীতা। মুকেশের ঘরণী হয়ে শুরু হয় পথ চলা...

.