নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজনৈতিক আলোচনা নয়, রাজনীতির বাইরে সম্পূর্ণ অন্য পরিসরে গিয়ে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেই দীর্ঘসময় ধরে অক্ষয়ের সঙ্গে এই কথোপকথন চলে নরেন্দ্র নোদীর। এই কথাবার্তায় উঠে আসে নরেন্দ্র মোদীর জীবনের নানান কথা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথায় কথায় অক্ষয় তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, মানুষের খুব কম করে হলেও দিনে ৭ ঘণ্টা ঘুমোনো উচিত, সেখানে তিনি নাকি দিনে মাত্র ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা ঘুমোন, এটা কীভাবে সম্ভব? উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানান, এটা তাঁর দীর্ঘদিনের অভ্যাস। তাঁর এই কম ঘুমোনোটা নিয়ে তাঁর চিকিৎসক থেকে শুরু করে পরিচিত মহলের অনেকেই চিন্তিত। সকলেই তাঁকে একটু বেশি ঘুমনোর পরামর্শ দেন। এমনকি তাঁর বন্ধু তথা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাও তাঁকে এনিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। তবে তিনি চিরকালই কম সময়ই ঘুমিয়ে আসছেন, এতে তাঁর যে কাজে কোনও ক্লান্তি আসে, এমনটাও নয়। তাই এনিয়ে চিন্তার কিছুই নেই। প্রথম জীবনে তিনি যে কষ্ট করে জীবন চালিয়েছেন, সেখান থেকেই হয়ত এই অভ্যাসটা তাঁর মধ্যে চলে এসেছে বলে মনে করেন নরেন্দ্র মোদী। কিছুটা মজা করে মোদীজি বলেন, কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পরই কীভাবে বেশি ঘুমোনো যায় সেই চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।


আরও পড়ুন-'প্রত্যেক বছর কুর্তা ও মিষ্টি পাঠান মমতাদিদি', অক্ষয়কে জানালেন মোদী



পরিবারের জন্য, মায়ের জন্য তিনি টাকা পাঠান? একথা প্রসঙ্গে হাসতে হাসতে মোদী বলেন, না বরং বাড়ি গেলে মা-ই এখনও আগের মতোই আমার হাতে  ১০০ টাকা ধরিয়ে দেন। MLA- হওয়ার আগে তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই ছিল না, কখনও প্রয়োজনও হয়নি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অ্যাকাউন্টে জমানো ২১ লক্ষ টাকা তাঁর এক কর্মীর বাচ্চার পড়াশোনার জন্য দিয়ে দিয়েছিলেন বলেও খোলসা করেন তিনি। পাশাপাশি মোদীজি জানান, ''অনেক ছোট থেকেই আমি পরিবার থেকে বিছিন্ন হয়ে জীবন চালিয়েছি। তারপর এখন যখন আমি আমার মাকে আমার সঙ্গে সময় কাটাকে বলি, উনি নিজের গ্রামেই থাকতে চান। তাছাড়া মাকে খুব বেশি সময় দিতেও পারিন না আমি।''


আরও পড়ুন-রাজনৈতিক আলোচনা নয়, মোদীর সঙ্গে আড্ডার মেজাজে অক্ষয়


তিনি কীভাবে 'রাগ' নিয়ন্ত্রণ করেন? এপ্রশ্নের জবাবে নরেন্দ্র মোদী বলেন, তিনি সব সময় না রেগে যাওয়ারই চেষ্টা করেন। তাঁর কথায়, ''রাগ সবসময় নেতিবাচক শক্তি তৈরি করে। আমি সবসময় কঠোর ও শৃঙ্খলা পরায়ণ থাকার চেষ্টা করি, কিন্তু কখনওই রাগে যাই না। আর এটা আমি অভ্যাস করেছি। আগে যখনই কোনও ঘটনায় আমি রেগে যেতাম, তখন গোটা ঘটনাটা আমি কাগজ-পেন নিয়ে লিখতাম এবং সেটা না পরে ছিঁড়ে ফেলতাম। তাতেও যদি রাগ না কমতো তাহলে আবার লিখতাম ও ছিঁড়ে ফেলতাম। এভাবেই রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার অভ্যাস করেছি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, কোনও বৈঠক চলার সময় রেগে যাওয়ার অর্থ নিজে এবং সবাইকে সেই কাজের থেকে বিচ্যুত করা।''


এছাড়াও বাজারের চলতি ওষুধপত্রের থেকেও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেই তাঁর সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। 


আরও পড়ুন-রাজের সঙ্গে শুভশ্রীর ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস করে ফেললেন দিদি দেবশ্রী