প্রশ্নের মুখে দেশের নিরাপত্তা, কার্গিলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বাস

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিকের বক্তব্য, কার্গিলে প্রায় ৫৩ রোহিঙ্গার থাকার খবর মিলেছে। 

Updated By: Nov 1, 2018, 05:34 PM IST
প্রশ্নের মুখে দেশের নিরাপত্তা, কার্গিলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বাস

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল জায়গাতেও নাকি ঢুকে পড়েছে রোহিঙ্গা! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, জম্মু-কাশ্মীরের কার্গিলে কমপক্ষে ৫৩জন রোহিঙ্গার থাকার খবর মিলেছে। কার্গিলেই বসতিস্থাপন করেছে ফেলেছে তারা। সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে সচেষ্ট ভারতীয় সেনা। এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের থাকার খবরে প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে দেশের নিরাপত্তা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিকের বক্তব্য, কার্গিলে প্রায় ৫৩ রোহিঙ্গার থাকার খবর মিলেছে। এর মধ্যে অনেকে সড়ক নির্মাণকাজে শ্রমিক হিসেবেও কাজ করছেন। তাদের গতিবিধির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্রেই খবর, মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভারতবিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলি। তাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার। রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে ভারতের মাটিতে হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা। উল্লেখ্য, মায়ানমারেও রোহিঙ্গা জঙ্গিরা ত্রাস হয়ে উঠেছিল। সে দেশের সেনাবাহিনীর উপরে তারা হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি করেছিল মায়ানমার সরকার। চলতি বছরের মে মাসে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাখাইনপ্রদেশে ৯৯ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে আরসা।রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৯৯ জন হিন্দু মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের খুন করেছে রোহিঙ্গা জঙ্গিরা। ২০১৭ সালে হিন্দু গ্রামে ঢুকে পড়ে অপহরণ ও হত্যা করে তারা। পরে ফটোগ্রাফিক প্রমাণও মিলেছে। বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে হিন্দুদের জবানবন্দি থেকে হত্যাকাণ্ডের কথা স্পষ্ট হয়েছে। হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের মানুষদের মধ্যে ভয় ধরাতে চেয়েছিল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। 

এর মধ্যেই গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে, মায়ানমার সেনার উপরে হামলার ছক কষছে জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা টুম্ব্রুর কাছে একত্রে রয়েছে ৩০০ রোহিঙ্গা জঙ্গি। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির কাছ থেকে সুইসাইড জ্যাকেট ও বিস্ফোরক জোগাড় করেছে আরসা। এই ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে আরসা কমান্ডার মাস্টার নুরুমিয়া। বাংলাদেশে আশ্রয়রত রোহিঙ্গাদের নিয়ে  আশঙ্কাপ্রকাশ করে ২৫ অগস্ট বিবৃতি জারি করে আরসা। ওই বিবৃতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছে তারা।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্র থেকে জানা দিয়েছে,  বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবির থেকে আরসা নিয়োগ করছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও।  

আরও পড়ুন- ফের বাড়ল ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাসের দাম, ভর্তুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডারও মহার্ঘ

.