Modi Attacks Congress: 'কংগ্রেস যদি না থাকত তাহলে কী হত?', সংসদের তীব্র আক্রমণ মোদীর, জেনে নিন ১০ পয়েন্টে
পরিবারতন্ত্রই আমাদের দেশের গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিপদ
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় কংগ্রেস কোণঠাসা। বাংলা-বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের চিহ্ন নেই। উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস দেখার মতো কিছু করবে কেউ তা বলছে না। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সেই কংগ্রেসকেই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
যোগীরাজ্য়ে ভোটের আগে একটা বিজেপি বিরোধী শক্তি গড়ে উঠছে। সেই উদ্যোগে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেক্ষেত্রে সবাইকে ছেড়ে দিয়ে কেন কংগ্রেসকেই আক্রমণ? তাহলে কি কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধীকে খাড়া করেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মোদী? এমনি প্রশ্ন উঠছে মোদীর বাজেট বক্তৃতাকে ঘিরে।
পরিবারতন্ত্র, গোয়ার দেশে অন্তর্ভূক্তি, কাশ্মীর(Kashmir), কোভিড টিকা-সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্যসভায় এদিন কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, জরুরি অবস্থা(Emergency), কাশ্মীরি পণ্ডিতদের রাজ্য ত্যাগ ও দিল্লির শিখ নিধন নিয়ে কংগ্রেসকেই দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
It was said here, 'Congress na hoti, toh kya hota'. It's a result of the thinking, 'India is Indira, Indira is India.' I think 'Congress na hoti, toh kya hota' because Mahatma Gandhi wanted...He knew what'll happen if they continue to be & he wanted to disband them beforehand: PM pic.twitter.com/XRRNGOhXNL
— ANI (@ANI) February 8, 2022
গতকাল লোকসভার পর আজ রাজ্যসভাতেও কংগ্রেসে বিরুদ্ধে সরব হন মোদী(Narendra Modi)। অতিমারীর আমলে কেন্দ্র সরকারের একের পর এক সাফল্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বাজেট অধিবেশনে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে দেশের অর্থনীতি নিয়ে খুব কমই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বরং তাঁর লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-'মমতা-অভিষেকের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে', ফের টুইটে খোঁচা বিজেপি নেতার
সংসদে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের রেশ টেনে মোদী বলেন
## 'কংগ্রেস না থাকলে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হতো না, জাতপাতের রাজনীতি হতো না, শিখদের নির্মমভাবে নিধন করা হতো না, কাশ্মীরি পন্ডিতদের সমস্যা হতো না। যারা ১৯৭৫ সালে দেশের গণতন্ত্রকে কাটাছোঁড়া করে তাদের গণতন্ত্র নিয়ে বেশি কথা বলা উচিত নয়। গণতন্ত্রের সবচেয় বড় শত্রু হল পরিবারতন্ত্র। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দেশের তরুণ প্রজন্মের।'
## কংগ্রেসের উচিত তাদের দলের নাম থেকে 'ন্যাশনাল' কথাটা বাদ দেওয়া। কারণ জাতীয় কথাটা নিয়ে কংগ্রেসের সমস্যা রয়েছে। কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশের উন্নয়নের দিকে তাদের মন ছিল না। এখন যখন তারা বিরোধী বেঞ্চে কখন তারা উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে।
## এখানেই বলা হয়েছে কংগ্রেস আগর না হোতি তো ক্য়ায়া হোতা? এই ধরনের কথাবার্তা, ইন্দিরাই ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়াই ইন্দিরা-মনোভাবের ফসল। আমার মনে হয় মহাত্মা গান্ধী জানতেন কংগ্রেস কী করবে। তাই ওদের আগেই ভাঙতে চেয়েছিলেন।
## কংগ্রেস যদি ভেঙে যেত তাহলেএদেশের গণতন্ত্র পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্ত হত।
## সংসদে বলা হয়েছে ভারতের ভিত গড়ছে কংগ্রেস। এই চিন্তাটাই ভুল। ১৯৪৭ সালে ভারত তৈরি হয়েছিল। এমনটাই মনে করেন কিছু মানুষ। এই ধরনের চিন্তাধারাই সমস্যার শিকড়।
## এই গণতন্ত্র কংগ্রেসের দান নয়। যারা ১৯৭৫ সালে যারা গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরে তাদের কথা বলার কোনও অধিকার নেই।
## পরিবারতন্ত্রই আমাদের দেশের গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিপদ।
## কিছু লোকের আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন। করোনার সময়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকও বয়কটের জন্য সলতে পাকানো হয়েছিল। এমনকি টিকাকরণের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হয়।
## নেহরুর নিষ্ক্রিয়তার কারণেই দেশের স্বাধীনতার ১৫ বছর পর গোয়া গোলামি থেকে মুক্ত হয়েছিল।
## কংগ্রেস না থাকলে তন্দুরে মহিলাদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটত না। মৌলিক সুবিধার জন্য এত বছর অপেক্ষা করতে হত না। পঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদ চলত না।