India Lost 26 Patrolling Points in Ladakh: লাদাখে ব্যাকফুটে ভারত? চিনের কাছে ২৬টি টহল পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ খোয়াল সেনা...
India Lost 26 Patrolling Points in Ladakh: রবিবার জাফনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের কথা ছিল প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের। তাঁর সফরের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহ মিটছে না, উল্টে, নিত্যদিন নিত্যনতুন বিপদের আশঙ্কা। সম্প্রতি চিনের কাছে লাদাখ সীমান্ত অঞ্চলের বেশ কিছু অংশের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাল ভারত।
আরও পড়ুন: Indus Waters Treaty: সিন্ধুনদীর জল নিয়ে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াল ভারত! ঠিক কী চাইছে মোদী-সরকার?
লাদাখ নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের বিরোধিতাপূর্ণ সম্পর্ক বহুদিনের। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, পূর্ব লাদাখ সীমান্তের পশ্চিম অংশে ৬৫টি টহল পয়েন্টের মধ্যে কমপক্ষে ২৬টির অধিকার হারিয়েছে ভারত! এগুলিতে ঢুকতেই পারছে না নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ভারতশাসিত লাদাখের অন্যতম প্রধান শহর লেহ-র পুলিস সুপারের করা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ভারতীয় ওই পুলিস কর্মকর্তা চিনের সঙ্গে ভারতের সুদীর্ঘ সীমান্ত এলাকা নিয়ে বহমান উত্তেজনাময় আবহাওয়ার মধ্যেই উদ্বেগজনক এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলছেন, ‘বর্তমানে কারাকোরাম পাস থেকে চুমুর পর্যন্ত ৬৫টি টহল পয়েন্ট (প্যাট্রোলিং পয়েন্ট বা পিপি) আছে। এই এলাকায় ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর (আইএসএফ) সদস্যরা নিয়মিত টহল দেন। তবে ৬৫টি টহল পয়েন্টের মধ্যে অন্তত ২৬টিতে ভারতের উপস্থিতি নেই। পিপি ৫-১৭, পিপি ২৪-৩২ এবং পিপি ৩৭-এ ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর টহল সীমিত হয়ে পড়়েছে অথবা সেখানে কোনো টহলই নেই!’
দিল্লিতে শীর্ষ পুলিস কর্মকর্তাদের বার্ষিক সম্মেলনে লাদাখ নিয়ে এই খবরটি দেওয়া হয়। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল উপস্থিত ছিলেন।
ওই পুলিস কর্তার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে-- চিন এ সত্য মেনে নিতে ভারতে বাধ্য করেছে যে, এসব এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী অথবা ভারতের অসামরিক নাগরিকদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। তাই ওই সব অঞ্চলে চিনারা উপস্থিত হয়েছেন। এর ফলে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা সীমানা ভারতের দিক থেকে সরে গিয়েছে এবং এ ধরনের সব পকেটে বাফার জোন তৈরি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে ভারত।
ওই পুলিস কর্মকর্তা লাদাখের ফ্রন্টলাইন এক এলাকার দায়িত্ব আছেন। শীর্ষ বৈঠকে তিনি বলেন, যদি ৪০০ মিটার পিছিয়ে গিয়ে আমরা ৪ বছরের জন্য 'পিপলস লিবারেশন আর্মি' (পিএলএ)-র সঙ্গে শান্তি স্থাপন করতে পারি, তাহলে সেটি মূল্যবান। তবে ভারত সরকার এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।