সংযত না হলে আলোচনা নয়, নয়াদিল্লির বার্তা ইসলামাবাদকে
নিয়ন্ত্রণরেখায় সংযত না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয়। ইসলামাবাদকে বার্তা দিল নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় জওয়ানদের হত্যায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে নওয়াজ শরিফের শান্তি বার্তায় সাড়া দেওয়া সম্ভব নয় ভারতের পক্ষে।
নিয়ন্ত্রণরেখায় সংযত না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয়। ইসলামাবাদকে বার্তা দিল নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় জওয়ানদের হত্যায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে নওয়াজ শরিফের শান্তি বার্তায় সাড়া দেওয়া সম্ভব নয় ভারতের পক্ষে।
৬ অগাস্ট নিয়ন্ত্রণরেখায় পাঁচ ভারতীয় সেনাকে গুলি করে হত্যা করে পাক সেনাবাহিনী। তারপর থেকেই লাগাতার হেভি মেসিনগানের গুলি ও মর্টার শেল ফায়ারিং চলছে পাকিস্তানের তরফ থেকে। মঙ্গলবারও জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা জেলায় সীমার ওপার থেকে গুলি চলেছে।
পাঁচ জওয়ানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার দাবি জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বসা সম্ভব নয়।
এদিকে পাকিস্তানে ক্ষমতায় এসেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করার উদ্যোগ নিয়েছেন নওয়াজ শরিফ। কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার বার্তাও পাঠিয়েছেন তিনি। যদিও ভারত জানিয়ে দিয়েছে, আস্থাবর্ধক কর্মসূচির অন্যতম শর্ত হিসেবে আগে নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলিবর্ষণ বন্ধ করতে হবে পাকিস্তানকে। সেপ্টেম্বরেই নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ফাঁকে নওয়ার শরিফের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই বৈঠকের আগে কাশ্মীরকে ফের আন্তর্জাতিক ইস্যু করে তুলতেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলিবর্ষণ করছে। পাক রাজনীতিকদের কথাতেও সেই ইঙ্গিতই ধরা পড়েছে। সংযত না হলে পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মনমোহন সিংয়ের কোনওরকম আলোচনায় যাওয়া উচিত নয় বলেই মতপ্রকাশ করেছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।