ওরা ভোটার নয়, তাই নির্বাচনী ইস্তেহার থেকে বাদ শিশুদের অধিকার, দাবি, বঞ্চনার কথা
ভোটের মানচিত্রে নেই ওরা । রাজ্য দখলের লড়াইয়ে দুর্নীতি থেকে পরিবর্তনের ঝড়--সবই আছে । কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের ইশতেহারেই নেই শিশু শ্রম, শিশুদের যৌন নিগ্রহ, অপুষ্টি বা শৈশবেই স্কুল ছাড়ার প্রবণতার কথা । নেই আঠেরোর আগেই জোর করে বিয়ে রোখার অঙ্গীকার । শিশুদের অধিকার নিয়ে এবার সোচ্চার হল কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা । সমস্ত রাজনীতিকদের কাছে তাদের আবেদন, শিশুদের কথাও ভাবুন।
ভোটের মানচিত্রে নেই ওরা । রাজ্য দখলের লড়াইয়ে দুর্নীতি থেকে পরিবর্তনের ঝড়--সবই আছে । কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের ইশতেহারেই নেই শিশু শ্রম, শিশুদের যৌন নিগ্রহ, অপুষ্টি বা শৈশবেই স্কুল ছাড়ার প্রবণতার কথা । নেই আঠেরোর আগেই জোর করে বিয়ে রোখার অঙ্গীকার । শিশুদের অধিকার নিয়ে এবার সোচ্চার হল কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা । সমস্ত রাজনীতিকদের কাছে তাদের আবেদন, শিশুদের কথাও ভাবুন।
ভোটার নয় । তাই কি রাজনীতির আঙিনায় ব্রাত্য শিশুদের অধিকার ? ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকালে সেকথাই মনে হবে। শিশু-সংক্রান্ত মাত্র ১৪% ইস্যু স্থান পেয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই ছবি। শিশু শ্রম বা শিশুদের যৌন নিগ্রহ বন্ধের আশ্বাস নেই কোনও দলের কর্মসূচিতেই। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এব্যাপারে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে । তাতে স্বাক্ষর করবেন সাধারণ মানুষ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে প্রতি আট মিনিটে একজন শিশু নিখোঁজ হয় । বছরে প্রায় ৯৬ হাজার শিশু নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। যার মধ্যে ৫৮% হদিস মেলে না। এবছর নিখোঁজ শিশুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে নয়াদিল্লি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ।
২০১২ সালে গায়েব হয়ে গিয়েছিল ৬৫ হাজার শিশু। শিক্ষার ক্ষেত্রেও পরিসংখ্যান একইরকম হতাশাজনক। ২০১১ সালে প্রাথমিক স্তরেই স্কুল ছেড়েছে প্রায় ২৭% শতাংশ শিশু। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ধরলে স্কুলছুট ৪৯.৩।৩। ছেলেদের ক্ষেত্রে তার পরিমাণ ৬.৯২% । মেয়েদের ক্ষেত্রে ৬.০৭%।
আইনে নিষিদ্ধ । কিন্তু লক্ষ লক্ষ শিশু শ্রমিককে প্রতিদিনকার জীবনযুদ্ধে দেখা যায়। ক্রাই সংস্থার হিসেবে, ১২% শিশু শ্রমিক রয়েছে ভারতে। অপুষ্টির শিকার ২২% শিশু। ১৮ বছরের আগেই বিয়ে করতে বাধ্য হয় ৪৫% কিশোরী। কিন্তু শিশুদের অধিকার কি জায়গা পাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সিলেবাসে। নরেন্দ্র মোদী বা রাহুল গান্ধীরা কি ভাবছেন ?