নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআই এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের ‘বাদানুবাদ’ যখন চরমে, আজ সোমবার সকাল ১০ নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে সিবিআই অধিকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন আইপিএস অফিসার ঋষি কুমার শুক্লা। সূত্রে খবর, সিয়াজ় গাড়ি করে সিবিআই দফতরে পৌঁছন শুক্লা। তাঁকে শুভেচ্ছা জানান সিবিআইয়ের অন্যান্য অফিসাররা। সিবিআই ও পুলিসের সংঘাতের ঘটনায় দিন কয়েকের মধ্যেই সিবিআইয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে শুক্লা কলকাতায় আসতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সন্ত্রাস দমনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকই ভারতের নতুন নীতি, শ্রীনগরে সাফ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর


উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ১৯৮৩ ব্যাচের মধ্যপ্রদেশের ক্যাডার ঋষিকুমার শুক্লাকে নয়া সিবিআই অধিকর্তা হিসাবে নিযুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি। এ দিন ছিল ওই কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক। জানা যায়, বৈঠকে সিবিআই অধিকর্তা হিসাবে চতুর্থ নাম প্রস্তাব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে আর তিন আইপিএস অফিসারের নাম প্রস্তাব করা হয় সরকারের তরফে। কিন্তু প্রস্তাবিত নামের ব্যক্তিদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য না দেওয়ায় বিরোধিতা করেন ওই কমিটির সদস্য কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।



নবনিযুক্ত সিবিআই অধিকর্তা এর আগে মধ্য প্রদেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিস (ডিজিপি)-এর পদ সামলেছেন। সে রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর শুক্লা বদলি হয়ে পুলিস আবাসন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হন। দেশের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শুক্লার। সন্ত্রাস দমনে তাঁর উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যায়।


আরও পড়ুন- পশ্চিববঙ্গের বাস্তব পরিস্থিতি জানাতে আজ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি


উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঘুষ নেওয়া নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয় সিবিআইয়ের দুই উচ্চপদস্থ কর্তা অলোক ভার্মা এবং রাকেশ আস্থানার। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁদের ছুটিতে পাঠায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর। কেন্দ্রের ‘ছুটি’ পাঠানোর সিদ্ধান্তেকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অলোক ভার্মা সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হলে, ফের তাঁকে ডিরেক্টরের পদে পুর্নবহাল করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। পাশাপাশি নিয়োগ কমিটিকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় ভার্মার বিষয়ে পদক্ষেপ করার। এরপরই, নিয়োগ কমিটি ভার্মাকে সরিয়ে ফের এম নাগেশ্বরকে অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তার পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ভার্মাকে পাঠানো হয় কম তুলনামূলক পদ দমকলের ডিজি করে। তারপরই ইস্তফা দেন অলোক ভার্মা। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।