Anupama Anjali: বাবা IPS, রোজ ২০ মিনিট হেঁটেই IAS হয়ে গেল মেয়ে! সাফল্যের সহজ টিপস
তবে অনুপমার এই জার্নি গল্প অনুপ্রেরণা দেবে সকলকেই। ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করার আগে অনুপমা অঞ্জলি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তবে প্রাথমিক প্রচেষ্টায় তিনি ব্যর্থ হন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (UPSC) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এমনিতেই চ্যালেঞ্জিং কাজ। যার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম এবং ইতিবাচক মানসিকতা প্রয়োজন হয়। কিন্তু মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রেখেই ইউপিএসসি-তে সাফল্য পেলেন আইএএস অফিসার অনুপমা অঞ্জলি। একবার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর অনুপমা অঞ্জলি দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় সাফল্য অর্জন করেছিলেন।
আরও পড়ুন, ভয়ংকর! বাবা-মাকে মেরে ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়ে চম্পট ছেলের
তবে অনুপমার এই জার্নি গল্প অনুপ্রেরণা দেবে সকলকেই। ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করার আগে অনুপমা অঞ্জলি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তবে প্রাথমিক প্রচেষ্টায় তিনি ব্যর্থ হন। এই ব্যর্থতা সত্ত্বেও তিনি আশা হারাননি এবং পরীক্ষাটি আরও একবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রাথমিক ব্যর্থতার পর অনুপমা অঞ্জলি নিজেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার দিকে মনোনিবেশ করেন।
শেষ পর্যন্ত, ২০১৮ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় তিনি সাফল্য অর্জন করেন এবং দেশব্যাপী ৩৮৬ র্যাঙ্ক অর্জন করে আইএএস হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেন। ইউপিএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের পরে, অনুপমাকে অন্ধ্রপ্রদেশ ক্যাডারে নেওয়া হয়। তার প্রথম পোস্টিং ছিল গুন্টুর জেলার যুগ্ম কালেক্টর হিসাবে। সেখানে তিনি জেলার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাহায্য করেন এবং ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ইচ্ছুকদের প্রশিক্ষণ দেন।
ডিএনএ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, অনুপমা অঞ্জলির বাবা একজন আইপিএস অফিসার। অনুপমা উল্লেখ করেন যে তিনি তার বাবা এবং দাদুকে দেখেই বড় হয়েছেন। তারা দুজনেই সরকারি কর্মচারী ছিলেন এবং কীভাবে তাদের আশেপাশের লোকদের সাহায্য করতে পারেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অঞ্জলি তা শিখেছিলেন সেখান থেকেই। ইউপিএসসিতে পরিবারের কর্মজীবন অনুসরণ করা তার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।
ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় অনুপমা অঞ্জলি সকালে ধ্যান করে দিন শুরু করতেন। তিনি মনে করেন, দিন যতই ব্যস্ত থাকুক না কেন, সকালের সময়টা সঠিকভাবে শুরু করা জরুরি। ধ্যানের পর এক কাপ চা নিয়ে একা একা বসে থাকতেন অনুপমা। নিজেকে উদ্বুদ্ধ রাখতে আত্মচর্চায় ব্যস্ত থাকতেন। মেডিটেশনের পাশাপাশি শারীরিক কসরতের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। অনুপমা এদিন জোর দিয়ে বলেন, অনেক শিক্ষার্থী দিনে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করার সময় তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা করে। সত্যি কথা হল, দিনের বেলায় ২০ মিনিট হাঁটাও আপনার মনকে সতেজ ও সতেজ করতে পারে।
আরও পড়ুন, Tomato Price Hike: দুবাই থেকে মেয়ে এলেন ভারতে, মায়ের জন্য আনলেন ১০ কিলো টমেটো!