Jawan Body Recovered: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ, ৩৮ বছর পর সিয়াচেনের বাঙ্কারে মিলল জওয়ানের দেহ
স্বামীর দেহ খুঁজে পাওয়ার খবর তিনিও আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন। শান্তি দেবী সংবামাধ্যমে জানিয়েছেন, সেইসময় আমাদের মাত্র ৯ বছর বিয়ে হয়েছিল। তখন ওর বয়স ছিল ২৮ বছর
![Jawan Body Recovered: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ, ৩৮ বছর পর সিয়াচেনের বাঙ্কারে মিলল জওয়ানের দেহ Jawan Body Recovered: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ, ৩৮ বছর পর সিয়াচেনের বাঙ্কারে মিলল জওয়ানের দেহ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/17/385899-006.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রায় ৪ দশক পর খোঁজ মিলল ভারতীয় সেনার এক নিখোঁজ জওয়ানের। আশ্চর্যজনক হলেও রবিবার সিয়াচেনের এক পুরনো বাঙ্কারে মিলল লান্স নায়েক চন্দ্রশেখর হারবোলা নামে ওই জওয়ানের দেহ। ভারতীয় সেনার ১৯ কুমায়ুন রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন ওই জওয়ান। ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন মেঘদূত নামে এক অভিযানে অংশ নেয় কুমায়ুন রেজিমেন্ট। সিয়াচেনে ঘাঁটি গেড়ে থাকার সময় এক তুষার ধসে চাপা পড়ে যান ১৮ জওয়ান। তাদের মধ্যে ছিলেন লান্স নায়েক চন্দ্রশেখর হারবোলা। সেই দেহ উদ্ধার হল ৩৮ বছর পর। রানীখেতের সৈনিক গ্রুপ সেন্টারের বিশেষজ্ঞরা ওই দেহ সনাক্ত করেন। হারবোলার সঙ্গে আরও এক সেনার দেহ উদ্ধার হয়েছে। সেই দেহ এখনও সানাক্ত করা যায়নি।
আরও পড়ুন-'আমি বাড়িতে অন্তত একশোবার ফুটবলটাকে নাচাই', ইস্টবেঙ্গল মাঠে মমতা-বাণী
সিয়াচেনে পাক সেনাকে একটি এলাকা থেকে হঠিয়ে দিতে অপারেশন মেঘদূত শুরু করে ভারতীয় সেনা। লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ডি কে খান্নার নেতৃত্বে ভাকতীয় সেনা ঘাঁটি গাড়ে জম্মু ও কাশ্মীরের খেরুতে। অপারেশনের জায়গায় যাওয়ার জন্যে জো জিলা পার করে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। জওয়ানরা প্রত্যেকে ৩০-৪০ কেজি মালপত্র নিয়ে জো জি লা পাস অতিক্রম করে গিয়েছিলেন।
১৯৮৪ সালের ২৫ মে একটি তুষার ধসের কবলে পড়ে ভারতীয় সেনার ওই টিম। ১৯ নম্বর কুমায়ুন রেজিমেন্টকে নির্দেশ দেওয়া হয় ৫৯৬৫ নম্বর পেয়েন্ট দখল করতে। কর্ণেল ডি কে খান্না তাঁর বইতে লিখেছেন ওই অপারেশনে অংশগ্রহণকারী জওয়ানরা সবাই জানত কী ভয়ানক বিপদের মুখোমুখি হতে চলেছেন তাঁরা। দলে ছিলেন মোট ১৮ সেনা। লক্ষ্যে পৌঁছনোর রাস্তায় তারা তুষার ধসে চাপা পড়ে যান।
চন্দ্রশেখর হারবোলার স্ত্রী শান্তিদেবী এখনও বেঁচে রয়েছেন। বর্তমানে থাকেন আলেমাড়াতে। স্বামীর দেহ খুঁজে পাওয়ার খবর তিনিও আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন। শান্তি দেবী সংবামাধ্যমে জানিয়েছেন, সেইসময় আমাদের মাত্র ৯ বছর বিয়ে হয়েছিল। তখন ওর বয়স ছিল ২৮ বছর। আমাদের বড় মেয়ের বয়স ছিল ৪ বছর। আর ছোট মেয়ের বয়স ছিল ১ বছর মাত্র। শেষবার ও ঘরে এসেছিল ১৯৮৪ সালের জানুয়ারি মাসে। বলেছিল খুব তাড়াতাড়ি ফের ফিরে আসবে। দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে, ভেবে গর্ব বোধও হয়।