আদালতে আক্রান্ত কানাহাইয়া কুমার, ফের সাংবাদিক নিগ্রহ, ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজত ছাত্র সংসদের সভাপতির
এবার পাতিয়ালা হাউস কোর্ট আদালত চত্বরেই আক্রান্ত হলেন কানাইয়া কুমার। আদালতে পেশের সময় ছাত্র নেতাকে মারধর। অভিযোগ উপস্থিত আইনজীবীদের একাংশ কানাইয়ার উপর চড়াও হন। পুলিসি হেফজাতে থাকার পরেও কী ভাবে হামাল হল? ফের প্রশ্নের মুখে দিল্লি পুলিসের ভূমিকা। পাতিয়ালা আদালতে আজও সাংবাদিক,ছাত্র-শিক্ষকদের আইনজীবীদের একাংশ। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা মুকতার আব্বাস নকভি বললেন, দেশদ্রোহীদের কোনও অবস্থায়ই বরদাস্ত করা হবে না।
ওয়েব ডেস্ক: পাটিয়ালা হাউস কোর্টে পেশের আগে ফের মার খেলেন কানাইয়া কুমার। মার খেলেন সাংবাদিকরাও। শুধু তাই নয়, আদালত চত্বরে হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দিলেন আইজীবীরাও। আর এসবই ঘটল পুলিসের চোখের সামনে।
আক্রান্ত কানাইয়া
সোমবারের পর বুধবার। ফের ধুন্ধুমার পাটিয়ালা হাউস কোর্টে। এবার আক্রান্ত JNU ছাত্র সংসদ সভাপতি কানাইয়া কুমার। শুধু কানাইয়া কুমারকে মারধরই নয়, দিনভর নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলার সাক্ষী পাটিয়ালা হাউস কোর্ট চত্বর। সকালেই ছিল তার আঁচ।
আইনজীবীদের হাঙ্গামা
হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ, ভারতমাতা কী জয়--আইনজীবীরা)
সাংবাদিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে এদিনও।
সাংবাদিক নিগ্রহ
সাংবাদিককে ঘিরে মার-পাটিয়ালা হাউস কোর্ট চত্বরের এই পরিস্থিতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কোর্ট চত্বরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে দিল্লি পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ দেয় আদালত। দশ মিনিটের রিপোর্ট জানাতে বলে। প্রয়োজনে লোকাল কমিশনার নিয়োগের হুঁশিয়ারিও দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার কোর্ট চত্বরে আইনজীবীদের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলে, "কীভাবে আইনজীবীরা নিজের হাতে আইন তুলে নিলেন? ভারতের সব নাগরিকই দেশপ্রেমিক। দেশের গরিমা ক্ষুন্ন হয়, এমন কোনও কাজ কারোরই করা উচিত নয়।' তবে সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কার কানেই নেননি আইনজীবীরা। কালো কোর্ট পরে, পাটিয়ালা কোর্ট চত্বরে উন্মত্ত জনতার মতো আচরণ করতেই দেখা গেছে আইনজীবীদের একাংশকে।