জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শহরের ৯ ওয়ার্ডের অধিকাংশ ওয়ার্ডের বাড়িগুলিতেই ফাটল ধরেছে। রাস্তায় ফাটল, যান চলাচল করতে প্রবল সমস্যা হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় ধসে গিয়েছে বাড়িঘরের বিভিন্ন অংশ। এরকম এক পরিস্থিতিতে যোশীমঠের ৯ ওয়ার্ডই বসবাসের উপযোগী নয় বলে জানিয়ে দিল প্রশাসন। শহরে মোট ৪৫০০ বাড়ি রয়েছে। তার মধ্য়ে ৬১০টি বাড়িতেই ফাটল দেখা দিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কোচবিহারে পৃথক রাজ্য নাকি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, এবার স্পষ্ট করলেন অনন্ত মহারাজ


আতঙ্কের এই পরিস্থিতিতে ৯০টিও বেশি পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাজ্যের ৪-৫টি জায়গায় ওইসব পরিবারকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে শহরের আরও বাড়িতেও ফাটল দেখা দিতে পারে। সোমবার উত্তরাখণ্ড যাচ্ছেন এনডিএমএ-র সদস্যরা। একটি দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে একটি নতুন ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই ৯টি ওয়ার্ডে যে কোনও মুহূর্তে ভূমিধস হতে পারে। 


রবিবার খোদ প্রধানমন্ত্রী যোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। বৈঠকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব, এনডিআরএফের আধিকারিকরাও ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এনডিআরএফের কাছ থেকে যোশীমঠের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। যে কোনও আপতকালীন পরিস্থিতিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দেন এনডিআরএফ আধিকারিকরা। 


এদিকে, এখন প্রশ্ন যারা তাদের বাড়ি ছাড়ছেন তাদের জীবন জীবিকার কী হবে? তাদের জন্য রাজ্য সরকার কী করবে? উত্তরাখণ্ড সরকার ঘোষণা করেছে, ক্ষতিগ্রস্থদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি একটি বিকল্প জায়গায় খোঁজ করছেন যেখানে ঘরছাড়াদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। 


অন্যদিকে, শুধুমাত্র যোশীমঠই নয়, উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য একাধিক শৈলস্থানে মাত্রারিক্ত বসতি গড়ে উঠেছে। নৈনিতালও রয়েছে সেই তালিকায়। যোশীমঠের ওই বিপত্তি নিয়ে জ্যোতির মঠের শঙ্করাচার্য বলেন, এই জিনিস আচমকা হয়নি। বহু বছর ধরে এর আশঙ্কা করা হচ্ছিল। উন্নয়নের নামে এখানে এমন কিছু কাজ হচ্ছিল যার ফল এই পরিস্থিতি। কিন্তু সরকার এর আসল কারণ জানে না? তপোবন বিষ্ণু গার্ড প্রকল্পের কারণে সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছিল, বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)