চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে ক্ষমা চাইলেন কল্যাণ
অধ্যক্ষের চাপে বোধোদয় হল কল্যাণের। নরেন্দ্র মোদী ও লালবাহাদুর শাস্ত্রীকে জড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল সাংসদ। লোকসভায় জানালেন, কুকথার জন্য তিনি দুঃখিত। ক্ষমা চাইতে হবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বুধবার লোকসভার জিরো আওয়ারে এই দাবিতে হৈ-চৈ শুরু করে দেন বিজেপি সাংসদরা। চাপে পড়ে সুর নরম করেন কল্যাণ।
চিঁড়ে অবশ্য এতে ভেজেনি। সরাসরি ক্ষমা না চাইলে, জল যে অনেকদূর গড়াবে তা নরমে-গরমে স্পষ্ট করে দেন বেঙ্কাইয়া নাইডু। বলতে উঠলেন মল্লিকার্জ্জুন খাড়্গে আর মুলায়ম সিং যাদব। কল্যাণ ইস্যুতে বিজেপির নাছোড়বান্দা মনোভাবের সমালোচনা করলেও তৃণমূল সাংসদের মুখের ভাষা যে ঠিক নয় তা স্পষ্টভাবে বলতে দ্বিধা করেননি তাঁরা। এ বার আসরে নামলেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। একেবারে স্নেহশীল হেডমিস্ট্রেসের ভূমিকায়। যেন চেষ্টা করলেন,বিপথে যাওয়া ছাত্রকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ঠিক পথে ফিরিয়ে আনার।
বুধবার সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে নিজের ঘরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। বুঝিয়ে দেন, দুঃখপ্রকাশ না করলে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারে বিজেপি। কল্যাণের আগেকার নানা কুকথার উল্লেখও থাকতে পারে তাতে। সব মিলিয়ে প্রবল চাপের মুখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ।