সোমবার মধ্যপ্রদেশে আস্থাভোট চায় বিজেপি, রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন শিবরাজ সিং
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার যদি পদত্যাগী ২২ বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন তাহলে কংগ্রেসের হাতে থাকবে মাত্র ৯২ বিধায়ক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া-সহ ২২ বিধায়ক কংগ্রেস ছাড়ার পর থেকেই কাউন্টডাউন শুরু করেছে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার। বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য। শনিবার কাউন্টডাউনের গতি আরও বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। রাজ্যপাল লালজি ট্য়ান্ডনকে চিঠি লিখে বিধানসভায় আস্থাভোট নেওয়ার দাবি জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন-করোনার থাবা থেকে বাঁচতে মোদীর সঙ্গে 'হাতে হাত' মিলিয়ে লড়তে রাজি পাকিস্তান
বর্তমানে ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সদস্য সংখ্যা ২২৮। সংখ্যগরিষ্ঠতা পেতে গেল জোগাড় করতে হবে ১১৫ বিধায়কের সমর্থন। এতদিন কংগ্রেস শিবিরে ছিল ২১২ বিধায়কের সমর্থন। এদের মধ্যে ছিলেন ৪ নির্দল, ২ বসপা বিধায়ক ও ১ সপা বিধায়কের সমর্থন।
এদিকে, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকার যদি পদত্যাগী ২২ বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন তাহলে কংগ্রেসের হাতে থাকবে মাত্র ৯২ বিধায়ক। সম্প্রতি একটি দলের বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিল কংগ্রেস। সেই বৈঠকে আসেননি বসপার ২ ও সপার ১ বিধায়ক। উপস্থিত ছিলেন নির্দলের ৪ বিধায়ক। এখন ওই ৪ বিধায়ক যদি কংগ্রেসকে সমর্থন করেন তাহলে কংগ্রেসের শক্তি হবে ৯৬।
আরও পড়ুন-রাজারহাটে তৈরি হচ্ছে ২টি সেন্টার, জেলায় জেলায় আইসোলেশন ওয়ার্ড : মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে, কংগ্রেস দাবি করেছে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ১০০ বিধায়ক। কংগ্রেসের কথা যদি বিশ্বাস করতে হয় তাহলেও সংখ্যগরিষ্ঠতা থেকে পিছিয়ে রয়েছেন কমল নাথ। ২২ বিধায়কের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে সংখ্যাগরিষ্টতা গিয়ে দাঁড়াবে ২০৬-এ। তার পরেও বিজেপির থেকে পিছিয়ে থাকবে কংগ্রেস। ফলে বিধায়ক জোগায় করতে না পারলে আস্থা ভোটে কমল নাথের হার নিশ্চিত।